প্রবাহ ডেস্ক: অনেকের মিষ্টি খাওয়ার প্রতি বিশেষ ঝোঁক থাকে। মানসিক চাপে থাকলে কিংবা শেষপাতে হোক বা হালকা খিদে পেলে— মিষ্টি দেখলেই হল! আসলে শরীরের কোনও না কোনও অঙ্গের সঙ্গে প্রতিটি বিশেষ স্বাদের যোগ রয়েছে। কিন্তু এই মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা মোটেই স্বাভাবিক নয়। অতিরিক্ত চিনি অস্বাস্থ্যকর এবং দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের জটিলতা হতে পারে। বেশি মিষ্টি খেলে কী কী হতে পারে-
# নিষ্ক্রিয়তাঃ মিষ্টি খেলে শরীরে এনার্জি কমে যায়। ঠিক যেমন ভারী কার্বোহাইড্রেট খাবারের পরে অলসতা আসে এবং ঘুম পেয়ে যায়, মিষ্টির ক্ষেত্রেও তাই হয়। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে শরীরে এনার্জির মাত্রা ওঠানামা হয়।
# ক্রেভিং বেড়ে যাওয়াঃ বেশি চিনি খাওয়া শুরু করলে মিষ্টির ক্রেভিং বেড়ে যায়। বিশেষ করে ঋতুস্রাবের সময়ে মহিলাদের মিষ্টির প্রতি বেশি ঝোঁক হতে থাকে। তাই এই প্রবণতা কাটাতে ব্যালেন্স ডায়েট রাখার চেষ্টা করুন।
# ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন এবং বিরক্তিঃ রক্তে চিনির পরিমাণ কমে যাওয়া আপনার মুড সুইং হওয়ার কারণ হতে পারে। তাই অতিরিক্ত চিনি খাওয়া কমালে মানসিক শান্তি বজায় থাকবে।
# ত্বকে প্রভাবঃ আপনার কি ব্রণর সমস্যা রয়েছে? ত্বকে হরমোনজনিত দাগ? তাহলে চিনি এই সমস্যা আরও বাড়িতে দিতে পারে। মিষ্টি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার কমিয়ে দিলে ত্বকের স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে।
# খারাপ কোলেস্টেরলঃ এলডিএল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টেরল কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে এই কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে। যদি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা ইদানীং বেশি হয়ে থাকে, তাহলে অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি খাওয়া হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন।
# অনিদ্রাঃ রাতে চিনি বেশি খেলে শরীরে কর্টিসল এবং মেলাটোনিনের ভারসাম্য ব্যাহত হতে পারে। যার প্রভাব পড়ে ঘুমে। বদলে রাতে প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান।
# পেট ফাঁপা এবং গ্যাসঃ অতিরিক্ত চিনি অন্ত্রে খারাপ ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে দেয়। ফলে হজমের সমস্যা বাড়ে। বদলে গোটা শস্য জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
# পেটে মেদঃ অতিরিক্ত চিনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পেটে জমা হয়। বাড়িতে মেদ কমাতে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবার বেশি খান।