নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন।
অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে ক্যাম্পাস। ১৭টি কেন্দ্রে ৯১৮ প্রার্থীর পক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটার।
১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠার পর রাকসু নির্বাচন হয়েছে ১৪ বার। সর্বশেষ ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে ছাত্রদল প্যানেল থেকে রুহুল কবির রিজভী ভিপি এবং জাসদ ছাত্রলীগ প্যানেলের রুহুল কুদ্দুস বাবু জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এবার ছাত্র সংসদের ২৩টি পদে ৩০৫ জন, সিনেটের ৫টি পদে লড়বেন ৫৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়াও ১৭টি হল সংসদের ২৫৫টি পদে প্রার্থী ৫৫৫ জন। একজন ভোটারকে ভোট দিতে হবে ৪৩টি। এর মধ্যে ছাত্র সংসদে ২৩টি, সিনেটে ৫টি ও হল সংসদে ১৫টি। নির্বাচন সচ্ছ করতে ১৭টি কেন্দ্রে ১০০ সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে নির্বাচন কমিশন।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে সিনেট ভবনে সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সবার সহযোগিতা চেয়েছে সর্বোচ্চ ১৭ ঘন্টার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা কথা জানায় নির্বাচন কমিশন।
এদিকে, ১৫ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে ১৭ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসসহ আশপাশের ২০০ গজ এলাকার মধ্যে সকল প্রকার মিছিল, মিটিং, সমাবেশ, বিক্ষোভ, মাইকিং, আতশবাজিসহ অস্ত্র বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে আরএমপি। নিরাপত্তা নিশ্চিতে দুই হাজার পুলিশের পাশাপাশি ৬ প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব মোতায়েন থাকবে। সকালে জুবরী মাঠে দায়িত্বে নিয়জিত পুলিশ সদস্যদের ব্রিফ করেন আরএমপি কমিশনার।
কোন ভোটার বা প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে শাস্তি দিবে নির্বাচন কমিশন। আর ফৌজদারি অপরাধ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই পাশে ৬টি গেট খেলা থাকবে। ৪টি গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে এবং বের হওয়া যাবে ২টি গেট দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং নির্বাচন কমিশনের দেওয়া পরিচয়পত্র দেখিয়ে প্রবেশ করা যাবে ক্যাম্পাসে।