বৃহস্পতিবার | ১৪ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একুশে পদকপ্রাপ্ত সঙ্গীতজ্ঞ পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী আর

একুশে পদকপ্রাপ্ত সঙ্গীতজ্ঞ পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী আর

নিজস্ব প্রতিবেদক: এশিয়া উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের মর্যাদাপূর্ণ পুরোধা পন্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী আর নেই। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে নয়টায় রাজশাহী মহানগরী রানীবাজার এলাকার নিজ বাসভবন মোহিনী গার্ডেনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।

পন্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী ১৯২৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর (১ আশ্বিন, ১৩৩৫ বঙ্গাব্দ) ফরিদপুর জেলার চৌদ্দরশি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র অবস্থায় তাঁর মায়ের একান্ত আগ্রহে সঙ্গীতচর্চার সূচনা হয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত কলাকার ও সুরকার ফরিদপুরের সুধীর লাল চক্রবর্তী থেকে।

সুধীর লাল চক্রবর্তীর আকস্মিক মৃত্যুর পর সিরাজগঞ্জের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতজ্ঞ হরিহর শুক্লার কাছে কিছু বছর সঙ্গীত শিক্ষা গ্রহণের পর তিনি ফরিদপুর জেলার কোটালীপাড়ার সঙ্গীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তীর কাছে ধ্রুপদ, খেয়াল ও ঠুমরীর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে প্রশিক্ষণ লাভ করেন।

তিনি ময়মনসিংহ জেলার নেত্রকোনার বিশিষ্ট শিল্পী ও সুরকার নিখিলচন্দ্র সেন থেকে আধুনিক গান, অতুলপ্রসাদ, রাগপ্রধান, নজরুল এবং শ্যামাসঙ্গীতের শিক্ষা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি সঙ্গীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তীর সুযোগ্য পুত্র, প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী মানস চক্রবর্তীর কাছ থেকেও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ নেন।

১৯৪৫ সালে বাইশরশি শিবসুন্দরী একাডেমী থেকে ম্যাট্রিক পাশ করার পর উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি সঙ্গীতচর্চা অব্যাহত রাখেন। ছোট বেলা থেকেই রাগ সঙ্গীতের প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ছিল। জগতে প্রতিষ্ঠিত হতে পন্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরীর পাশে ছিলেন তাঁর বৌদি শ্রীমতি পাপিয়া রায় চৌধুরী, ছোটো কাকা গৌর গোপাল রায় চৌধুরী ও মেজো ভাই নিত্য গোপাল রায় চৌধুরী, যাদের অবদান চিরস্মরণীয়।

১৯৬১ সাল থেকে রাজশাহী মহানগরীর রানীবাজার এলাকার মোহিনী নিকেতন বাসভবনে বসবাস শুরু করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের একজন বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পকলা পদক (২০১৪) এবং একুশে পদক (২০১৬) শাস্ত্রীয় সংগীত বিভাগে প্রাপ্ত তাঁর অসামান্য অবদানকে স্বীকৃতি দেয়।

আজ বিকেল চারটায় রাজশাহী মহানগর পঞ্চবটি শ্মশানে তাঁর দাহকর্ম অনুষ্ঠিত হবে। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

 


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.