শুক্রবার | ৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
ট্রাম্পের হুমকি সত্ত্বেও ছাড়তে পারছে না ভারত রাশিয়াকে ব্যর্থতার পাল্লা ভারী অন্তর্বর্তী সরকারের ১ বছর, সমালোচনা কমাতে পারে ‘ভালো নির্বাচন’ শান্তির ‌‘অলিম্পিক গোল’ আর তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে ৮ গোলের জয় বাংলাদেশের গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় আটক ৫ রাজশাহীতে ৬ জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ রাজশাহীতে জুলাইযোদ্ধা ম্যানহলে পড়ার ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত বিএনপি পরিবারের সবাইকে নিয়ে সম্মেলন হবে: মিলন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় উপদেষ্টা পরিষদের কিছু সদস্যের মন খারাপ: মেজর হাফিজ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রক্ষায় ‘মঞ্চ ৭১’-এর আত্মপ্রকাশ তফসিলের আগে এসপি-ওসিদের বদলি হবে লটারির মাধ্যমে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শান্তির ‌‘অলিম্পিক গোল’ আর তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে ৮ গোলের জয় বাংলাদেশের

শান্তির ‌‘অলিম্পিক গোল’ আর তৃষ্ণার হ্যাটট্রিকে ৮ গোলের জয় বাংলাদেশের

প্রবাহ ডেস্ক: এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের জয়যাত্রা চলছেই। প্রথম ম্যাচে ৩-১ গোলে লাওসকে হারানোর পর আজ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ৮-০ গোলে পূর্ব তিমুরকে উড়িয়ে দিয়েছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। গোল করার প্রতিযোগিতার দিনে হ্যাটট্রিক করেছেন তৃষ্ণা। এ ছাড়া সাগরিকা, নবিরুন, শিখা, শান্তি ও মুনকি একটি করে গোল করেন।

দুই অর্ধেই বাংলাদেশ চারটি করে গোল করে। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে তৃষ্ণা প্রথম গোল করেন। ৫৩ মিনিটে তিনি দলের পঞ্চম ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। ৮৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এ ফরোয়ার্ড। তৃষ্ণার তৃতীয় গোলে অবদান মোসাম্মৎ সাগরিকার। তিনি ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালের উদ্দেশে ঠেলে দেন। ফাঁকা পোস্টে প্লেসিংয়ে দুর্দান্ত গোল করেন তৃষ্ণা।

এর আগে ৭২ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় দারুণ গোল করেন সাগরিকা। মধ্য মাঠ থেকে বল পেয়ে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। গত পরশু লাওসের ম্যাচেও জোড়া গোল করেছিলেন সাগরিকা। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়েও বাংলাদেশ গোল পায়। মুনকি আক্তারের গোলের সঙ্গে সঙ্গে রেফারি ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান।

ম্যাচের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গোল করেছেন শান্তি মারডি। ৩২ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করেন তিনি। ডান প্রান্ত থেকে তার নেয়া কর্ণর কিক সরাসরি জালে জড়ায়। কর্ণর থেকে কোনো ফুটবলারের স্পর্শ ছাড়াই সরাসরি বল জালে জড়ালে সেটা ‘অলিম্পিক গোল’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়। শান্তির গোলটি অনেকটা সেই রকমই ছিল।

তার নেয়া কর্ণর কিকে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার ও সতীর্থ ফরোয়ার্ড বক্সে লাফিয়ে উঠলেও কেউই স্পর্শ করতে পারেননি। গোলরক্ষকও বলের ফ্লাইট মিস করেন। বল সবাইকে ফাঁকি দিয়ে সাইড পোস্টের ভেতর দিয়ে জালে প্রবেশ করে। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিক করে আলোচনায় এসেছিলেন শান্তি মারডি। এএফসি’র আসরেও আলো ছড়াচ্ছেন এই ফুটবলার।

তিন মিনিট পর একই প্রান্তে বাংলাদেশ আবার কর্ণার পেয়ে আরেকটি গোল করে। এবার গোলের যোগানদাতা শান্তি। তার নেয়া কর্ণারে বক্সের মধ্যে নবিরুন খাতুন হেড করে গোল করেন। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের চারটি গোলের তিনটিই কর্ণার থেকে। ২০ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে স্বপ্না রাণীর কর্ণারে শিখা হেডে বল জালে জড়ান।

বাঁ প্রান্তে স্বপ্না আর ডান প্রান্তের কর কিকগুলো শান্তি নিয়েছেন। বাংলাদেশ এই পরিকল্পনায় প্রথমার্ধে তিন গোল আদায় করে। দ্বিতীয়ার্ধের চারটি গোলই আবার ফিল্ড প্লে থেকে পেয়েছে বাংলাদেশ। উভয় দিকেই সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন আফিদারা।

টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৩-১ গোলে স্বাগতিক লাওসকে পরাজিত করেছিল। দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৬ ও গোল ব্যবধান ১০। বাংলাদেশের গ্রুপের শেষ ম্যাচ শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে। ওই ম্যাচে বাস্তবিক অর্থে পয়েন্ট আদায় করা অসম্ভব আফিদাদের জন্য। কোরিয়া এই গ্রুপের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন। ফলে বাংলাদেশের লক্ষ্য ভালো গোল ব্যবধান রেখে রানার্সআপ পজিশনে থাকা। যেন আট গ্রুপের মধ্যে সেরা তিন রানার্স-আপ হয়ে আগামী বছর মূল পর্বে খেলা যায়।

 

 


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.