শনিবার | ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
পল্লবীতে ৫ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে হামলা-গুলি ডাকসুর প্যানেল নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর লুকোচুরি! রাজসাক্ষী হিসেবে সহায়তার শর্তে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা করেছে ট্রাইব্যুনাল রাজশাহীতে মামার বিরুদ্ধে হ’ত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ভাগনের বিএনপি জনগণের শক্তি, ভোট ও গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে: আব্দুল মঈন শুধু মত প্রকাশের জন্য কোনো সাংবাদিক হয়রানির শিকার হচ্ছে না: প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব জুলাই আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি, খুনিদের বিচার এবং সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত কোনও নির্বাচন নয়: নাহিদ ইসলাম রাজশাহীতে যুবলীগ নেতার ভাগনের বিচার চেয়ে মামার সংবাদ সম্মেলন রাজশাহী বোর্ডে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫, পাসের হার ৭৭.৬৩ শতাংশ চুন্নুর পর আনিসুল ও হাওলাদারকে জাপা থেকে অব্যাহতি
রাজসাক্ষী হিসেবে সহায়তার শর্তে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা করেছে ট্রাইব্যুনাল

রাজসাক্ষী হিসেবে সহায়তার শর্তে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা করেছে ট্রাইব্যুনাল

প্রবাহ ডেস্ক: অপরাধ স্বীকার করে জুলাই গণহত্যার মামলায় রাজসাক্ষী হওয়ায় শর্ত সাপেক্ষে সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শর্ত অনুযায়ী তাকে নিজের ও তার সঙ্গীদের অপরাধের বিষয় ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরতে হবে। একই সঙ্গে নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে কারাগারে অন্য বন্দিদের সঙ্গে না রেখে আলাদা জায়গায় রাখতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের আদেশের লিখিত অনুলিপি আজ শনিবার (১২ জুলাই) প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আদেশ দিয়েছিলেন।

লিখিত আদেশে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আসামি শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন নামে ৩ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ধারা ৩(২)(ক), ৩(২)(ছ), ৩(২)(জ), ৪(১), ৪(২), ৪(৩) এর অধীনে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

অভিযুক্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন এবং বাকি দুই অভিযুক্ত পলাতক।

অভিযুক্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে অভিযোগ গঠনের পর ব্যাখ্যাটি পড়ে শোনানো হয় এবং তারপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে তিনি দোষ স্বীকার করবেন কি না। তিনি দোষ স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি অপরাধের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত পরিস্থিতি এবং সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তির বিষয়ে, প্রধান বা সহায়তাকারী, পূর্ণাঙ্গ ও সত্য প্রকাশ করতে চান।

তার আইনজীবী একটি আবেদন দাখিলের মাধ্যমে অভিযুক্তকে ক্ষমা করার জন্য আবেদন করেছেন। প্রধান প্রসিকিউটর অভিযুক্তকে ক্ষমা করার প্রস্তাবে সম্মত হন, এই শর্তে যে তিনি উপরোক্ত পরিস্থিতির পূর্ণাঙ্গ এবং সত্য প্রকাশ করবেন, কারণ এ ধরনের প্রকাশ অপরাধের বিচারের জন্য সহায়ক হবে।

উপরোক্ত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করাকে উপযুক্ত বলে মনে করে এবং সেই অনুযায়ী তাকে ক্ষমা করা হয়েছে এই শর্তে যে তিনি অভিযুক্ত অপরাধের সাথে সম্পর্কিত তার জানা মতে সমস্ত পরিস্থিতি এবং সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তির বিষয়ে, প্রধান বা সহায়তাকারী, সম্পূর্ণ এবং সত্য প্রকাশ করবেন এবং তিনি এই শর্ত সাপেক্ষে ক্ষমা গ্রহণ করেছেন এবং ট্রাইব্যুনাল তাকে সুবিধাজনক সময়ে বিচারে সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকবে।

যেহেতু অভিযুক্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমা করা হয়েছে এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন, তাই তাকে অন্যান্য বন্দিদের থেকে আলাদা করা প্রয়োজন। তাই সংশ্লিষ্ট কারা কর্তৃপক্ষকে তার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার স্বার্থে অভিযুক্ত চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে অন্যান্য বন্দিদের থেকে আলাদা করে আটক রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

চৌধুরী মামুনের আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ এ বিষয়ে বলেন, রাজসাক্ষী হিসেবে জুলাই গণহত্যার সব বিষয় ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরে বিচার প্রক্রিয়াকে সহায়তা করলে তবেই এ ক্ষমার আদেশ বাস্তবায়ন হবে।


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.