বুধবার | ২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন সময়ের দাবি : চরমোনাই পীর ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ চিহ্নিত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা আশ্রয়প্রার্থীদের নৌকায় চেপে ব্রিটেনে পৌঁছানোর রেকর্ড অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ : লিভ টু আপিল শুনানি ১৬ জুলাই ‘পঞ্চপাণ্ডব’ ছাড়া নতুন যুগে বাংলাদেশ একদিনে আরও ৩৮৬ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, সবচেয়ে বেশি বরিশালে একান্ত বৈঠকে কী বলেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা, জানালেন সিইসি আমরা নতুন দেশ গড়ার আন্দোলনে নেমেছি : নাহিদ ইসলাম ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে ‘আল্লাহর শত্রু’ আখ্যা দিয়ে ইরানে ফতোয়া নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আশাবাদী চীন : ফখরুল
গাইবান্ধার ২২ বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম গেজেট থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবৈধ: আদালত

গাইবান্ধার ২২ বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম গেজেট থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবৈধ: আদালত

প্রবাহ ডেস্ক: গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট বাতিলের এখতিয়ার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) নেই উল্লেখ করে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানায় নৌ-কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেওয়া ২২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি সংক্রান্ত গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম।

রায়ের পরে তৌফিক ইনাম বলেন, যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছেন তাদের সনদ বাতিল করার এখতিয়ার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার নেই বলে রায় দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ রায় দিয়েছেন আদালত। লিখিত রায়ে আরও বিস্তারিত হয়তো থাকবে।

এর আগে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে রিট আবেদনকারী ২২ জনসহ ৪৭৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ভারত থেকে নৌ-কমান্ডো প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর সাত সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় কমিটি ২০০১ সালে তাদের তালিকা চূড়ান্ত করেছিল। পরে ২০০৪ সালের ১৫ জুন এবং ২০০৫ সালের ১৭ এপ্রিল দুই দফায় ৪৭৯ জন নৌ-কমান্ডোর নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত করা হয়। এরপর থেকে তারা মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা পাচ্ছেন।

তবে ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল জামুকার ৩৫তম সভায় রিট আবেদনকারীসহ ২৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি সংক্রান্ত গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আবু হান্নান সরকারসহ ২২ জন ওই বছরের ৮ মে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।

পরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার ২২ নৌ-কমান্ডোর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি সংক্রান্ত গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে ২০১৬ সালে আদেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই ২২ নৌ-কমান্ডোর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি সংক্রান্ত গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করেন আদালত। দীর্ঘদিন পর ওই রুলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করলেন আদালত।


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.