নিজস্ব প্রতিবেদক: অভিনব কায়দায় একই চক্রের সদস্য ভিন্ন ভিন্ন গাড়ীতে যাত্রী বেশে মাদক পরিবহনের সময় সংঘবদ্ধ
চক্রের ৪ ব্যবসায়ীকে বিপুল পরিমান গাঁজা সহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫
শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর- ২.৩০ মিনিটে রাজশাহী মহানগরীর বেলপুকুর থানার
বেলপুকুর বাইপাস এর দক্ষিণ পার্শে মাহির মটরস এর সামনে পাঁকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানে আটক ব্যক্তিরা হলেন: ১. মো. রিয়াজ (২৫), পিতা-মো. জাহাঙ্গীর আলম, ২. লিপি বেগম (৩২), পিতা-মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বামী-মো. বাবুল হোসেন, (উভয়ের বাড়ি: জগদিসপুর চা-বাগান, মাধবপুর, হবিগঞ্জ), ৩. মো. জিয়াউর রহমান (৪০), পিতা-মৃত ওলি মিয়া, বাড়ি: নারায়ণপুর ইটাখোলা, মাধবপুর, হবিগঞ্জ, ৪. মো. সোহাগ আলী (২৬), পিতা-মো. সাইদুল ইসলাম, বাড়ি: সাতরশিয়া বুজপাড়া, শিবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
এসময় তাদের কাছ থেকে ১০ কেজি ২৮০ গ্রাম গাঁজা, মোবাইল-০৩ টি, সীম-০৩ টি, সিএনজি- ০১ টি, ট্রাভেল ব্যাগ-০১ টি, স্কুল ব্যাগ-০১ টি উদ্ধার করেন।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, সিপিএসসি এর আভিযানিক দল জানতে পারে যে, সুদূর সিলেট-হবিগঞ্জ থেকে
কতিপয় মাদক কারবারি যাত্রী বেশে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহন করে নিয়ে আসছে। যা রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জের
বিভিন্ন জায়গায় পাইকারি বিক্রি করা হবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের গোয়েন্দা দল উক্ত আসামীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ
শুরু করে। অদ্য তারিখ র্যাব-৫, সিপিএসসি এর একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে ০৪জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে এবং তাদের হেফাজতে থাকা ট্রাভেল ব্যাগ তল্লাশী করে ১০ কেজি ২৮০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
তারা সীমান্তবর্তী অজ্ঞাত স্থান হতে গাঁজা সংগ্রহ করে ট্রাভেল ব্যাগের ভিতর লুকিয়ে গাঁজা বহন করছিল। তারা দীর্ঘদিন যাবত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাকি দিয়ে একই চক্রের সদস্য হয়েও অভিনব কায়দায় ভিন্ন ভিন্ন বাস ও সিএনজিতে যাত্রীবেশে ও পণ্য পরিবহণের আড়ালে অধিক মুনাফা লাভের আশায় অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা রাজশাহী মহানগরী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে আসছিল।
আসামীগনের বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরীর বেলপুকুর থানায় মাদক আইনে একটি নিয়মিত মামলা করা
হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই তারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সন্ত্রাসবাদ, চোরাচালান, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, মাদক ও অন্যান্য অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।