সোমবার | ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
পায়ের ব্যথা অবহেলা নয়, কোন অংশে ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ জানেন?

পায়ের ব্যথা অবহেলা নয়, কোন অংশে ব্যথা কোন রোগের লক্ষণ জানেন?

প্রবাহ ডেস্ক: হাঁটাচলা করতে গিয়ে গোড়ালিতে চিনচিনে ব্যথা? নাকি সিঁড়ি ভাঙতে গেলেই হাঁটুতে অস্বস্তি? কিংবা ধরুন, গভীর রাতে ঘুমের মধ্যেই পায়ের পেশিতে টানের চোটে কঁকিয়ে উঠছেন? দৈনন্দিন জীবনে এমন ছোটখাটো পায়ের সমস্যাকে আমরা অনেকেই পাত্তা দিই না। ভাবি, সামান্য বিশ্রাম নিলেই বা একটু তেল মালিশ করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পায়ের বিভিন্ন অংশের এই ব্যথা মোটেই হেলাফেলার নয়। আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মনে হলেও এর আড়ালে লুকিয়ে থাকতে পারে ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস থেকে শুরু করে রক্তনালীর গুরুতর সমস্যা বা এমনকি স্নায়ুরোগের মতো জটিল অসুখ।

# গোড়ালি ও পায়ের পাতা

সকালে ঘুম থেকে উঠে মাটিতে পা ফেলতেই গোড়ালিতে ব্যথা হয়? এই লক্ষণের নাম ‘প্ল্যান্টার ফ্যাসাইটিস’। পায়ের পাতার তলায় থাকা ‘প্ল্যান্টার ফাসিয়া’ নামক লিগামেন্টে প্রদাহের কারণে এই সমস্যা হয়। তবে শুধু তাই নয়, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে ‘গাউট’ বা গেঁটে বাতের কারণেও গোড়ালি বা পায়ের বুড়ো আঙুল ফুলে লাল হয়ে তীব্র ব্যথা হতে পারে।

# কাফ মাসলের ব্যথা

গভীর রাতে বা ভোরের দিকে পায়ের কাফ মাসলে তীব্র খিঁচুনি বা টান (ক্র্যাম্প) ধরার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। মূলত শরীরে জল কমে গেলে (ডিহাইড্রেশন) এবং পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজের ঘাটতি হলে এই সমস্যা দেখা দেয়।

#পায়ের অসাড়তা

ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে পায়ে কড়া বা কর্ন দেখা যায়। কিন্তু এই ধরনের ক্ষততে ব্যথা বা অনুভূতিহীনতা অত্যন্ত ঝুঁকির সঙ্কেত। একে ‘ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি’ বলা হয়। স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেক সময়ে ডায়াবেটিস রোগী আঘাত পেলেও টের পান না, যা থেকে পায়ে মারাত্মক ঘা বা ‘গ্যাংগ্রিন’ পর্যন্ত হতে পারে।

হাঁটু ও অন্যান্য গাঁট

# অস্টিওআর্থ্রাইটিস: মূলত বয়সজনিত কারণে বা গাঁটের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কার্টিলেজ ক্ষয়ে গিয়ে এই সমস্যা হয়। এতে হাঁটাচলা, সিঁড়ি ভাঙা বা বসার সময় হাঁটুতে ব্যথা ও শক্তভাব অনুভূত হয়।

# রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস: এটি একটি অটোইমিউন রোগ, যেখানে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজেই অস্থিসন্ধিকে আক্রমণ করে। এর ফলে শুধু হাঁটু নয়, শরীরের একাধিক গাঁটে একসঙ্গে যন্ত্রণা হতে পারে, সঙ্গে থাকে ফোলা ভাব।

পায়ে ঝিঁ ঝিঁ বা অবশ ভাব

অনেকক্ষণ একভাবে বসে থাকলে বা শুলে পায়ে ঝিঁ ঝিঁ ধরাটা স্বাভাবিক। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হলেই তা সেরে যায়। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই যদি বারবার পায়ে ঝিঁ ঝিঁ ধরে, সুচ ফোটানোর মতো অনুভূতি হয় বা একাংশ অবশ হয়ে যায়, তবে তা স্নায়ুরোগের লক্ষণ হতে পারে। ভিটামিন বি১২-এর অভাব, থাইরয়েডের সমস্যা বা ‘সায়াটিকা’ (কোমরের স্নায়ুতে চাপ পড়ার কারণে) থেকে এই ধরনের অনুভূতি হতে পারে।


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.