সোমবার | ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
ছাত্রদলকে ডাকসুতে মনোনয়নপত্র ক্রয় করতে না দিতে মব হচ্ছে : রিজভী চিকিৎসা শেষে ফিরলেন মির্জা ফখরুল, সংকট নিরসনের একমাত্র পথ দ্রুত নির্বাচন আনুষ্ঠানিক দা‌য়িত্ব নিলেন পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারকে সহযোগিতা দিতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত : সেনাপ্রধান আরএমপি’র অভিযানে ইয়াবা, অ্যালকোহল ও চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার ৪ চলতে চলতে থেমে যাচ্ছে রেলের ইঞ্জিন, স্পেয়ার পার্টসের অভাবে বিঘ্ন রেল চলাচল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের বিকল্প নেই : তারেক রহমান ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বদলে কী কী চান পুতিন হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য, বদরুদ্দীন উমর, মাহমুদুর ও নাহিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত রাজশাহীতে সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার
জেলগেটেই শেষবার মায়ের মুখ দেখলেন সাবেক এমপি আসাদ

জেলগেটেই শেষবার মায়ের মুখ দেখলেন সাবেক এমপি আসাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মায়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেছিলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ। তবে অনুমতি না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকেই অ্যাম্বুলেন্সে আনা হয় মায়ের মরদেহ। দূর থেকেই শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখেন তিনি।

সোমবার (২ জুন) রাত সোয়া ৮টার দিকে এ দৃশ্য দেখা যায় জেলগেট এলাকায়।

আসাদুজ্জামান রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর তিনি গ্রেপ্তার হন এবং বর্তমানে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি।

সোমবার বিকেলে ৮০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন আসাদুজ্জামানের মা সালেহা বেগম। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানানো হয়। তবে নিরাপত্তা বিবেচনায় সেই আবেদন নাকচ করে কারা কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শাহ আলম খান বলেন, ‘‘মানবিক বিবেচনায় মরদেহটি জেলগেটে এনে সাবেক এমপিকে দূর থেকে দেখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’’

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আসাদুজ্জামান রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের সাত ভাই-বোনের মধ্যে পাঁচ ভাইই আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। চার ভাই এখনো আত্মগোপনে, আর আসাদুজ্জামান বন্দি।

মায়ের মৃত্যুর পর এই চার ভাই-ই মায়ের মুখ পর্যন্ত দেখতে পারেননি। শুধু এসেছিলেন সালেহা বেগমের তৃতীয় সন্তান আক্তারুজ্জামান। তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন, পেশায় একজন প্রাইভেট কার চালক।

আক্তারুজ্জামান জানান, তিনি বিকেলে বাড়ি গিয়ে মায়ের মুখ দেখেছেন, তবে নিরাপত্তা শঙ্কায় অংশ নিতে পারেননি জানাজায়। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় রাজশাহী নগরের মহিষবাথান গোরস্থানে জানাজা শেষে সালেহা বেগমের দাফন সম্পন্ন হয়।


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.