বুধবার | ৪ঠা জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চোখ লাল, আচমকা জল পড়ছে? কনজাংটিভাইটিস নয় তো? কীভাবে রক্ষা পাবেন এই রোগ থেকে

চোখ লাল, আচমকা জল পড়ছে? কনজাংটিভাইটিস নয় তো? কীভাবে রক্ষা পাবেন এই রোগ থেকে

প্রবাহ ডেস্ক: একদিকে গরম অন্যদিকে বৃষ্টি। সাধারণত, গ্রীষ্মের শেষ এবং বর্ষার শুরুর দিকে এমন একটি রোগের প্রকোপ বাড়ে যাকে চলতি ভাষায় বলা হয় ‘জয় বাংলা’। আধুনিক প্রজন্ম অবশ্য রোগটিকে চেনে অন্য একটি নামে- কনজাংটিভাইটিস।

কেন এই সময় কনজাংটিভাইটিস বাড়ে?

এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়তে শুরু করে। উচ্চ আর্দ্রতা এবং উষ্ণ তাপমাত্রা ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধির জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। কনজাংটিভাইটিস মূলত ভাইরাস (বিশেষত অ্যাডেনোভাইরাস) এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট হয়, যা এই পরিবেশে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে এবং ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি বর্ষার সময়ে জল জমে যাওয়া এবং অপরিষ্কার পরিবেশ অনেক ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের উৎস হয়ে দাঁড়ায়। যদি ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা সঠিকভাবে বজায় রাখা না হয়, তাহলে এই জীবাণুগুলো সহজেই চোখে প্রবেশ করতে পারে। অপরিষ্কার হাত দিয়ে চোখ ঘষলে বা নোংরা জিনিসপত্র থেকে চোখে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। বৃষ্টির জল বা জমে থাকা জল অধিকাংশ সময় অপরিষ্কার হয়। যদি এই জল চোখে লাগে, তাতে থাকা জীবাণু চোখে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। বিশেষ করে শিশুরা খেলার সময় জমে থাকা জলের সংস্পর্শে আসে, যা তাদের মধ্যে কনজাংটিভাইটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

প্রতিরোধের উপায়

# হাত ধোওয়া: ঘন ঘন সাবান ও জল দিয়ে হাত ধুয়ে নেওয়া জরুরি।

# চোখ না ঘষা: অপরিষ্কার হাতে চোখ ঘষা থেকে বিরত থাকুন।

# ব্যক্তিগত সামগ্রী ব্যবহার: অন্যের ব্যক্তিগত সামগ্রী যেমন তোয়ালে, রুমাল, কাজল ইত্যাদি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

# সাঁতারের সময় সতর্কতা: সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার সময় চশমা ব্যবহার করুন এবং পুলের জল পরিষ্কার না হলে জলে নামবেন না।

# চিকিৎসকের পরামর্শ: চোখে কোনও রকম অস্বস্তি বা লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.