নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে উৎসবমুখর পরিবেশে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে।
নতুন ঝকঝকে রঙ্গিন পাঠ্যবই হাতে পেয়ে খুদে শিক্ষার্থীরা দারুণ খুশি।
রবিবার (১জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বেলুন- ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে পাঠ্যপুস্তবক উৎসবের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক এই পাঠ্যপুস্তক উৎসবের আয়োজন করে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এএনএম মইনুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমান শাহ, রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাঃ নাসির উদ্দিন, অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে সভাপতি মোশাররফ হোসেন বাচ্চু, অধ্যক্ষ মোঃ সাইফুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ২০১২ সালে দেশ বর্তমানের মতো এতো উন্নত ছিল না। তবে সেই সময়েই সারাদেশে বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেওয়ার দু:সাহসীক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বই ছাপিয়ে বিনামূল্যে বিতরণ করে দেয়াটা খুব দু:সাহসীক কাজ। প্রতিবছর এভাবে বই তৈরি করে বাঁধাই করে ট্রাকে করে স্কুলে স্কুলে গ্রামেগঞ্জে পাহাড়ে পৌছে দেয়া এটি সহজ কথা নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই কাজটি করে যাচ্ছেন সুনিপুনভাবে।
এ বছর সরকার সারাদেশের ৪ কোটি ৯ লাখ শিক্ষার্থীদের হাতে প্রায় ৩৫ কোটি বই বিনামূল্যে তুলে দিচ্ছে। আমি মনে করি এটি নাগরিকদের কল্যানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারলে তারা দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত হবে। এতে আমাদের সবদিক দিয়েই লাভ। কাজেই সরকার এটা বিনিয়োগ করছেন নাগরিকদের কল্যাণে, দেশবাসীর কল্যাণে। এটা অব্যাহত থাকবে। এটা আরও বেশি সম্প্রসারিত হচ্ছে।
নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সৌভাগ্যবান উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাসিক খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, যারা দেশ ও জাতি গড়বে আগামী দিনে তাদেরকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে না পারলে দেশের কাছে বোঝা হয়ে যাবে তারা। তারা যাতে সম্পদ হয়, দেশের জন্য আশির্বাদ হয়, সেকারণে তাদের হাতে সময় মতো বই পৌছে দেয়া হচ্ছে। দেশে প্রায় ৭৫ শতাংশ শিক্ষিতের হার। আমরা অপেক্ষায় তাকিয়ে আছি সেই দিকে যেদিন শতভাগ শিক্ষিত জাতিতে পরিণত হবো আমরা।