নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলার রাখালরাজা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে স্বাধীনতার ঘোষনার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উদিত হয়েছিলো। তিনি নিজেও যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। সেইসাথে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর বিন্দুর মোড়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল রাজশাহী মহানগর, থানা ও ওয়ার্ডের সাবেক নেতৃবৃন্দের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, রাসিক সাবেক মেয়র সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এবং দিন নির্দেশনায় দীর্ঘ সতের বছর ধরে স্বৈরাচার পতনের জন্য আন্দোলন করে আসছে। গত বছরের জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচারের পতন হলেও দেশে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি। এই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আবারও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি অনিবন্ধিত দল। আর এই দলকে প্রধান্য দিচ্ছেন খোদ প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ আর এটা মেনে নেবেনা। তিনি আসছে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন প্রদানের দাবী জানান।
মিনু আরো বলেন, বিএনপি কথা কম বলে কাজ বেশী করে। তিনি মানুষের সাথে সবাইকে ভাল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক আদর্শিক দল। এই দলের কেউ চাঁদাবাজ ও দখলবাজী করলে বিএনপিতে তারা ঠাঁই হবেনা। ঐ সকল ব্যক্তিদের আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেক কষ্ট সহ্য করেছে। শুধু নেতাকর্মীরাই নয়, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আজিমপুর কারাগারে একাকী রাখা হয়েছিলো। বিনা চিকিৎসার তিলে তিলে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো পতিত সরকারের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী খুনি হাসিনা। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তা হয়নি। তিনি এখন সুস্থ আছেন। দেশের উন্নয়নে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়া একত্রে কাজ করবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। বক্তব্য শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সেইসাথে জনগণের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান প্রধানবক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। স্বেচ্ছাসেবক দল বোয়ালিয়া থানার (পূর্ব) সাবেক আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মাইনুল হক হারু, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিলন, চন্দ্রিমা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাব হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার মন্ডল, মহানগরের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুজন, চন্দ্রিমা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সোহান, শাহ্ মখ্দুম থানার সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমিন, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল হাসান পরাগ, সাবেক সদস্য সচিব শুভ, মতিহার থানার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, বোয়ালিয়া থানা পশ্চিম এর আহ্বায়ক রবিউল আলম মিলু, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান হিমেল, যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল ও হৃদয় ও মহানগর ছাত্রদলেল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাদাত সানসহ স্বেচ্ছাসেবক দল, বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ।