শুক্রবার | ৩০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে গভীর স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, ৬ বিভাগে ভারী বৃষ্টির শঙ্কা স্বাধীনতার ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সব রাজনৈতিক দল নয়, শুধু একটি দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে: প্রধান উপদেষ্টা রাবিতে দৈনিক মজুরীভিত্তিক কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ রাজশাহীতে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন সংশোধনের আহ্বান মহাপরিচালকের রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস পালিত ভাড়া নেয়ার কথা বলে বাসায় ঢুকে তিন জনকে অজ্ঞান করে স্বর্ণ-টাকা লুট ২১০ হজযাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবরটি গুজব বলছে মৌরতা‌নিয়ান এয়ারলাইন্স রাতের মধ্যে ১৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতনেও সিএসইর লেনদেন বেড়েছে
রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস পালিত

রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালন করেছে রাজশাহী মহানগর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় আরএমপি সদর দপ্তর প্রাঙ্গণে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করা হয়।

এরপর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহান, আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার শোভাযাত্রা অংশ নেন। এতে জেলা ও নগর পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরাও অংশ নেন।এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পেশা, সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে।

শোভাযাত্রা শেষে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

“THE FUTURE OF PEACEKEEPING” অর্থাৎ “শান্তিরক্ষার ভবিষ্যৎ”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজনটি ছিল শান্তিরক্ষীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানানোর একটি সুন্দর উদ্যোগ। যাঁরা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

পরে রাজশাহী জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ,আলোচনার শুরুতেই শান্তির প্রতীক হিসেবে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষ্যে একটি প্রামাণ্যচিত্র (ডকুমেন্টারি) প্রদর্শিত হয়, যেখানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের অবদান ও কর্মপ্রক্রিয়া তুলে ধরা হয়।

মুখ্য আলোচক প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, বাংলাদেশ ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গর্বের সঙ্গে অংশ নিচ্ছে। আমাদের শান্তিরক্ষীরা পেশাদারিত্ব এবং মানবিক আচরণ দিয়ে বিশ্বে প্রশংসিত। তাঁরা শুধু শান্তি প্রতিষ্ঠায় নয়, বরং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতেও পারদর্শী। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ যেন এই অগ্রণী ভূমিকা বজায় রাখতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে তিনি ভাষা ও কর্মের দক্ষতার প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানের ব্যারিস্টার মো: জিল্লুর রহমান জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গকারী বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যেকোনো সময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকেন। ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এ পর্যন্ত ১৮৮ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মোৎসর্গ করেছেন, যার মধ্যে ২২ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর আর কোনো দেশে যেন যুদ্ধ না হয়, যেন আমাদের কাউকে আর যুদ্ধ মোকাবেলায় যেতে না হয়। যদিও আমরা একা এই যুদ্ধ থামাতে পারব না, তবুও আমাদের উচিত সর্বদা নিজেদের সর্বোচ্চ প্রস্তুত রাখা, যেন শান্তিরক্ষায় আমরা অবদান রাখতে পারি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন, আমরা আজ যে আন্তর্জাতিক দিবসটি পালন করছি, তার একটি গভীর তাৎপর্য রয়েছে। ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা, আচরণ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারেন, যা তাঁদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা দেশের জন্য রেমিট্যান্স আয়ের একটি বড় উৎস হিসেবে অবদান রাখছেন। যেসব শান্তিরক্ষী তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেন।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ আসাদুজ্জামান, এসবিপি, উপ-কমান্ড্যান্ট, বিআইআরসি, রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট; ও মোহাম্মদ শাহজাহান, পিপিএম (বার), পিএইচডি, ডিআইজি, রাজশাহী রেঞ্জ, বাংলাদেশ পুলিশ, খোন্দকার আজিম আহমেদ, এনডিসি, বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী এবং রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আরএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) এবং অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত জনাব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, পিপিএম। অনুষ্ঠানে অতিথিরাও আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসের তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দসহ আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.