প্রবাহ ডেস্ক: ঢাকার কদমতলী থানাধীন এলাকা থেকে অর্ধশত চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় চোরাই মোবাইল বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৮ মে) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন আল আমিন (২৭) ও হাবিব সরকার (৩৫)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৫০টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনগুলোর কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তারা। উদ্ধার মোবাইলগুলোর আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কদমতলী থানার একটি টিম অভিযান চালিয়ে ঢাকা ম্যাচ শিল্প নগরী জামে মসজিদের পাশে ‘দ্যা গেজেট অ্যাম্পরিয়াম টেলিকম’ নামক দোকান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
কদমতলী থানার বরাদ দিয়ে মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, ওই দোকানে কিছু ব্যক্তি চোরাই মোবাইল ফোন ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে রাত সাড়ে ১২টায় অভিযান চালিয়ে আল আমিন ও হাবিব সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা পলাতক এক ব্যক্তির কাছ থেকে এসব চোরাই মোবাইল ফোন কিনে বিক্রি করত। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, চোরাই মোবাইল ফোন ক্রয়-বিক্রয় একটি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। কম দামে ফোন কেনার লোভে অজানা বা সন্দেহজনক বিক্রেতার কাছ থেকে মোবাইল না কিনে বৈধ কাগজপত্রসহ (ক্রয় রসিদ ও ওয়ারেন্টি কার্ড) স্বীকৃত দোকান থেকে মোবাইল কেনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতার মাধ্যমেই চোরাই মোবাইল ব্যবসা প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানায় ডিএমপি।