প্রবাহ ডেস্ক: চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজারে আসছে ত্বকচর্চার নিত্যনতুন সাধন। সম্প্রতি রূপটানে আগ্রহী ব্যক্তিদের নোটবইতে যুক্ত হয়েছে এমন একটি নাম যার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন সাধারণ গৃহবধূ থেকে চিত্রতারকারাও – পিআরপি ফেসিয়াল। বিষয়টি ঠিক কী? জানতে এমডি ডার্মাটোলজি ডা. শ্রুতি বর্মণের সঙ্গে কথা বলল আজকাল ডট ইন।
রূপটানে আগ্রহী বহু মানুষের মুখে মুখে এখন পিআরপি থেরাপির কথা শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি ঠিক কী? প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসক বলেন, “পিআরপি কথাটির অর্থ, ‘প্লেটলেট রিচ প্লাজমা’। আমাদের রক্তে যেমন শ্বেত রক্তকণিকা বা লোহিত রক্তকণিকা থাকে তেমনই থাকে অনুচক্রিকা বা প্লেটলেট। যখন শরীরে কোনও আঘাত লাগে তখন সেই অঞ্চলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করা এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করা এই অনুচক্রিকা বা প্লেটলেট-এর মূল কাজ। কিন্তু তার পাশাপাশি প্লেটলেটের আরও একটি ভূমিকা রয়েছে। এর মধ্যে কিছু ‘গ্রোথ ফ্যাক্টর’ থাকে। এই গ্রোথ ফ্যাক্টরগুলি নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে। মূলত এই বিষয়টির উপর ভিত্তি করেই চুল এবং ত্বক পুনরুজ্জীবিত করতে এই থেরাপি ব্যবহার করা হয়।”
অর্থাৎ চুল এবং ত্বক, দু’ক্ষেত্রেই এই থেরাপি কার্যকর। মূলত মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পে এবং মুখের চামড়ার তলায় প্লেটলেট সমৃদ্ধ প্লাজমা ইঞ্জেক্ট করা হয়। স্ক্যাল্পের ক্ষেত্রে এতে নতুন নতুন ফলিকল তৈরি হয়, রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়, চুলের ঘনত্ব বাড়ে এবং চুল পড়ার সমস্যাও কমে। মুখের ক্ষেত্রে যাঁদের বলিরেখা, ত্বক কুঁচকে যাওয়া কিংবা রোদে পোড়া ত্বকের মতো সমস্যা রয়েছে, তাঁরা এই চিকিৎসায় উপকার পান। আসলে এই সব কিছুর নেপথ্যে রয়েছে পূর্বে উল্লিখিত গ্রোথ ফ্যাক্টরগুলি, এমনই জানিয়েছেন চিকিৎসক।