প্রবাহ ডেস্ক: ব্যস্ততার জীবনে অন্য কোনও শরীরচর্চা করার সময় না থাকলেও প্রতিদিন হাঁটার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। হাঁটা হল সুস্থতার জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী এক্সারসাইজ। নিয়মিত হাঁটা যে ফিটনেসের মন্ত্র, সেই তথ্য সকলেরই জানা। কিন্তু দৈনিক কতটা হাঁটলে ফিট থাকা যায়? তা নিয়ে নানা মত রয়েছে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৬-৬-৬ নিয়মেই লুকিয়ে সুস্থতার আসল চাবিকাঠি। এই নিয়মেই চটজলদি ঝরে মেদ।
কী এই ৬-৬-৬ রুল? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৬ টা আর সন্ধে ৬ টায় ৩০ মিনিট করে মোট ৬০ মিনিট হাঁটা জরুরি। সঙ্গে ৬ মিনিটের ওয়ার্ম আপ, ৬ মিনিটের বিশ্রাম, ৬ মিনিটের স্ট্রেচিং! এই ছোট্ট নিয়ম মানলেই শরীর বাসা বাঁধবে না রোগভোগ। বয়সকালেও থাকবেন সুস্থ। ওজন কমাতেও এই নিয়ম অত্যন্ত কার্যকরী।
এক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে সকাল ৬টার আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে। তারপর ৬ মিনিট ওয়ার্ম আপ করতে হবে। তারপরে ৬ মিনিটের জন্য শরীরকে ঠাণ্ডা করতে হবে। এরপর একটানা ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। মর্নিং ওয়াক শরীরের মেটাবলিজমকে শক্তিশালী করে। হার্টের জন্যও জরুরি মর্নিং ওয়াক। নিয়মিত সকালে হাঁটলে নাকি হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা ৩৫ % পর্যন্ত কমে যায়। এছাড়া রক্ত সঞ্চালন, বিপাকের হার বাড়ানোর জন্যেও সকালের হাঁটা প্রয়োজন।
এই নিয়মে আপনাকে সন্ধে ৬টার পর ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। এর মধ্যে ৬-৬ মিনিটের ওয়ার্ম-আপ এবং শরীর ঠান্ডা করার সময়ও রয়েছে। সন্ধ্যায় হাঁটলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। রাতে ঘুম ভাল হয়। মনে রাখবেন, ৬ মিনিটের জন্য ওয়ার্ম-আপ আপনার পেশীগুলিকে প্রস্তুত করে। তাই ওয়ার্ম আপ বাদ দিলে চলবে না।
বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে, হাঁটার সময়ে অনেকেই বেশ কিছু ভুল করেন। তাই কায়িক পরিশ্রম হলেও কমে না ওজন। আসলে বিশেষজ্ঞদের মতে, কতটা হাঁটছেন, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কীভাবে হাঁটছেন। অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা জরুরি। আর এই ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে একটানা। টুকটাক খুচরো হাঁটায় শরীরের কলকব্জা ভাল থাকে ঠিকই, কিন্তু তাতে ওজনের তেমন হেরফের হয় না। তাই মেদ ঝরাতে হলে অন্তত ১৫-২০ মিনিটে দেড় কিলোমিটার পথ হাঁটতে উপকার পাবেন।