রবিবার | ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
ছাত্রদলকে ডাকসুতে মনোনয়নপত্র ক্রয় করতে না দিতে মব হচ্ছে : রিজভী চিকিৎসা শেষে ফিরলেন মির্জা ফখরুল, সংকট নিরসনের একমাত্র পথ দ্রুত নির্বাচন আনুষ্ঠানিক দা‌য়িত্ব নিলেন পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারকে সহযোগিতা দিতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত : সেনাপ্রধান আরএমপি’র অভিযানে ইয়াবা, অ্যালকোহল ও চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার ৪ চলতে চলতে থেমে যাচ্ছে রেলের ইঞ্জিন, স্পেয়ার পার্টসের অভাবে বিঘ্ন রেল চলাচল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের বিকল্প নেই : তারেক রহমান ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বদলে কী কী চান পুতিন হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য, বদরুদ্দীন উমর, মাহমুদুর ও নাহিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত রাজশাহীতে সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার
আশ্রয় হয়নি স্বামী, বাবা ও নানার বাড়িতে, কি অপরাধ ছিল আবিরনের?

আশ্রয় হয়নি স্বামী, বাবা ও নানার বাড়িতে, কি অপরাধ ছিল আবিরনের?

প্রবাহ ডেস্ক: নববধু আবিরনের স্বামী হোসেনের মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার খবর পেয়ে মিলেটারিরা তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বাড়ি থেকে পালাতে গিয়ে মিলিটারীদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তারা আবিরনকে ধরে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।

পরে আবিরনের স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁকে আর বাড়িতে আশ্রয় দেয়নি। বাধ্য হয়ে বাবা আজিমুদ্দিনের বাড়িতে ফিরে এলে মা কাছিরন (বাতাসি) বেওয়া তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। এই অপরাধে আবিরনের বাবা আবিরনের মা কাছিরনকে তালাক দেন। কাছিরন বেওয়া মেয়েকে নিয়ে নিজের বাবা ইউসুফের বাড়িতে ওঠেন। সেখানেও তাদের আশ্রয় হয়নি।

সেসময় নানি কাচুয়ানী তাঁদের কাছে রাখতে চাইলেও পারেননি। পরে অন্যের বাড়ির পাশে ঝুপড়ি তুলে থাকতেন। কাছিরন বেওয়ার বাবা মারা যাওয়ার পর আবিরনের নানার কোন ছেলে সন্তান না থাকায় সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে বাড়িতে আশ্রয় পান। এমন করেই নিজের জীবনের গল্প যুগ যুগ ধরে বলে আসছেন আমিরন।

এখনও নিঃসন্তান আবিরন মা কাছিরন বেওয়ার সাথেই আছেন। এমন যার জীবনের ট্রাজেডি সেই আবিরনের আজও মুক্তিযোদ্ধার সনদ হয়নি। অথচ চোখের সামনে কতজন (ভুয়া) মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাচ্ছেন! তাদের পাপ আড়াল করছেন যারা তারাই সমাজের সেরা চেয়ারগুলোতে বসে পা দোলাচ্ছেন। কাউকে কিছু বলার নেই।

আবিরন বেওয়ার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের কালে গ্রামে। তাঁর স্বামীর বাড়ি ছিল রাজারহাট উপজেলার ফরকেরহাটে। বাবার বাড়ি ছিল মুক্তারাম, নানার বাড়ি কালেতে। সেখানেই তিনি থাকছেন মা সহ। তাঁর মা জিরজিরে একটা ভাঙা টিনের ঝুপড়িতে থাকতেন। এবছর জাপান প্রবাসীদের সহায়তায় একটা ছোট্ট টিনের ঘর করে দিয়েছি। ঘর পাওয়ার পর কাছিরন বলেছিলেন, এখন তো আমার মরার সময়, ঘর দিয়া আমার আর কি হবে?

 

ছবিতে বায়ে আবিরন বেওয়া, ডানে তাঁর মা কাছিরন বেওয়া।

 

ছবি এবং তথ্য – Lailee Yesmeen

 


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.