মঙ্গলবার | ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে ‘আল্লাহর শত্রু’ আখ্যা দিয়ে ইরানে ফতোয়া নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আশাবাদী চীন : ফখরুল শুল্ক স্টেশনগুলোর সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস ঘোষণা পবায় ভারী বর্ষণে রাস্তা নির্মাণের মধ্যেই ধস: দুই গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একদিনে রেকর্ড ৪২৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি রাবিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপিত দেশব্যাপী সেনা অভিযানে সাত দিনে গ্রেপ্তার ৩৮৫ শান্তরা যেখানে যুদ্ধ করেছেন, নিশাঙ্কারা সেখানেই ছেলেখেলা করছেন ৩ নির্বাচনের অভিযোগ তদন্ত এবং সুপারিশ প্রণয়ন কমিটি গঠন
আশ্রয় হয়নি স্বামী, বাবা ও নানার বাড়িতে, কি অপরাধ ছিল আবিরনের?

আশ্রয় হয়নি স্বামী, বাবা ও নানার বাড়িতে, কি অপরাধ ছিল আবিরনের?

প্রবাহ ডেস্ক: নববধু আবিরনের স্বামী হোসেনের মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার খবর পেয়ে মিলেটারিরা তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বাড়ি থেকে পালাতে গিয়ে মিলিটারীদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তারা আবিরনকে ধরে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।

পরে আবিরনের স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁকে আর বাড়িতে আশ্রয় দেয়নি। বাধ্য হয়ে বাবা আজিমুদ্দিনের বাড়িতে ফিরে এলে মা কাছিরন (বাতাসি) বেওয়া তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। এই অপরাধে আবিরনের বাবা আবিরনের মা কাছিরনকে তালাক দেন। কাছিরন বেওয়া মেয়েকে নিয়ে নিজের বাবা ইউসুফের বাড়িতে ওঠেন। সেখানেও তাদের আশ্রয় হয়নি।

সেসময় নানি কাচুয়ানী তাঁদের কাছে রাখতে চাইলেও পারেননি। পরে অন্যের বাড়ির পাশে ঝুপড়ি তুলে থাকতেন। কাছিরন বেওয়ার বাবা মারা যাওয়ার পর আবিরনের নানার কোন ছেলে সন্তান না থাকায় সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে বাড়িতে আশ্রয় পান। এমন করেই নিজের জীবনের গল্প যুগ যুগ ধরে বলে আসছেন আমিরন।

এখনও নিঃসন্তান আবিরন মা কাছিরন বেওয়ার সাথেই আছেন। এমন যার জীবনের ট্রাজেডি সেই আবিরনের আজও মুক্তিযোদ্ধার সনদ হয়নি। অথচ চোখের সামনে কতজন (ভুয়া) মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাচ্ছেন! তাদের পাপ আড়াল করছেন যারা তারাই সমাজের সেরা চেয়ারগুলোতে বসে পা দোলাচ্ছেন। কাউকে কিছু বলার নেই।

আবিরন বেওয়ার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের কালে গ্রামে। তাঁর স্বামীর বাড়ি ছিল রাজারহাট উপজেলার ফরকেরহাটে। বাবার বাড়ি ছিল মুক্তারাম, নানার বাড়ি কালেতে। সেখানেই তিনি থাকছেন মা সহ। তাঁর মা জিরজিরে একটা ভাঙা টিনের ঝুপড়িতে থাকতেন। এবছর জাপান প্রবাসীদের সহায়তায় একটা ছোট্ট টিনের ঘর করে দিয়েছি। ঘর পাওয়ার পর কাছিরন বলেছিলেন, এখন তো আমার মরার সময়, ঘর দিয়া আমার আর কি হবে?

 

ছবিতে বায়ে আবিরন বেওয়া, ডানে তাঁর মা কাছিরন বেওয়া।

 

ছবি এবং তথ্য – Lailee Yesmeen

 


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.