বুধবার | ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা নিয়ে ভবিষ্যত গড়তে চাই: মনোজ কুমার আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন: আইন উপদেষ্টা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা রাজশাহীতে বিচারকের বাসায় ঢুকে ছেলেকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা, স্ত্রী গুরুতর আহত আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারির পর নির্বাচন মানুষ মেনে নেবে না: মির্জা ফখরুল রাজশাহীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত ডেঙ্গুতে আরো ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪ জন জাতীয় সংসদের অর্ধেক আসন চায় নারীরা
আশ্রয় হয়নি স্বামী, বাবা ও নানার বাড়িতে, কি অপরাধ ছিল আবিরনের?

আশ্রয় হয়নি স্বামী, বাবা ও নানার বাড়িতে, কি অপরাধ ছিল আবিরনের?

প্রবাহ ডেস্ক: নববধু আবিরনের স্বামী হোসেনের মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার খবর পেয়ে মিলেটারিরা তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বাড়ি থেকে পালাতে গিয়ে মিলিটারীদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তারা আবিরনকে ধরে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।

পরে আবিরনের স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাঁকে আর বাড়িতে আশ্রয় দেয়নি। বাধ্য হয়ে বাবা আজিমুদ্দিনের বাড়িতে ফিরে এলে মা কাছিরন (বাতাসি) বেওয়া তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। এই অপরাধে আবিরনের বাবা আবিরনের মা কাছিরনকে তালাক দেন। কাছিরন বেওয়া মেয়েকে নিয়ে নিজের বাবা ইউসুফের বাড়িতে ওঠেন। সেখানেও তাদের আশ্রয় হয়নি।

সেসময় নানি কাচুয়ানী তাঁদের কাছে রাখতে চাইলেও পারেননি। পরে অন্যের বাড়ির পাশে ঝুপড়ি তুলে থাকতেন। কাছিরন বেওয়ার বাবা মারা যাওয়ার পর আবিরনের নানার কোন ছেলে সন্তান না থাকায় সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসেবে বাড়িতে আশ্রয় পান। এমন করেই নিজের জীবনের গল্প যুগ যুগ ধরে বলে আসছেন আমিরন।

এখনও নিঃসন্তান আবিরন মা কাছিরন বেওয়ার সাথেই আছেন। এমন যার জীবনের ট্রাজেডি সেই আবিরনের আজও মুক্তিযোদ্ধার সনদ হয়নি। অথচ চোখের সামনে কতজন (ভুয়া) মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাচ্ছেন! তাদের পাপ আড়াল করছেন যারা তারাই সমাজের সেরা চেয়ারগুলোতে বসে পা দোলাচ্ছেন। কাউকে কিছু বলার নেই।

আবিরন বেওয়ার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের কালে গ্রামে। তাঁর স্বামীর বাড়ি ছিল রাজারহাট উপজেলার ফরকেরহাটে। বাবার বাড়ি ছিল মুক্তারাম, নানার বাড়ি কালেতে। সেখানেই তিনি থাকছেন মা সহ। তাঁর মা জিরজিরে একটা ভাঙা টিনের ঝুপড়িতে থাকতেন। এবছর জাপান প্রবাসীদের সহায়তায় একটা ছোট্ট টিনের ঘর করে দিয়েছি। ঘর পাওয়ার পর কাছিরন বলেছিলেন, এখন তো আমার মরার সময়, ঘর দিয়া আমার আর কি হবে?

 

ছবিতে বায়ে আবিরন বেওয়া, ডানে তাঁর মা কাছিরন বেওয়া।

 

ছবি এবং তথ্য – Lailee Yesmeen

 


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.