প্রবাহ ডেস্ক: চুল পড়ার সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। বাজারচলতি নানা প্রসাধনী ব্যবহার করেও অনেক সময় সুফল মেলে না। তবে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। কুমড়োর বীজ এমনই একটি উপাদান, যা চুল গজাতে এবং চুলের সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
কুমড়োর বীজে কী এমন উপাদান রয়েছে যা চুলের জন্য উপকারী?
কুমড়োর বীজ জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এই উপাদানগুলি চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
# জিঙ্ক: নতুন চুল গজানো এবং চুলের ফলিকল মজবুত করার জন্য জিঙ্ক অপরিহার্য। এটি চুল পড়া কমাতেও সাহায্য করে।
# কিউকারবিটাসিন: কুমড়োর বীজে থাকা এই অ্যামাইনো অ্যাসিড চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
# ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: এই উপাদানগুলি মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল করে এবং চুলকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে বাঁচায়, যা চুল পড়া রোধে সহায়ক।
# ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: এই ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।
# ফাইটোস্টেরল: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে ফাইটোস্টেরল চুল পড়া কমাতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষত অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া বা পুরুষদের টাক-এর ক্ষেত্রে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন কুমড়োর বীজ?
চুলের স্বাস্থ্যের জন্য কুমড়োর বীজ বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে চুলের ক্ষেত্রে মূলত তেল হিসাবেই ব্যবহৃত হয়। কুমড়োর বীজের তেল সরাসরি মাথার ত্বকে মালিশ করতে পারেন। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং চুলের ফলিকলকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। সপ্তাহে ২-৩ বার তেল মালিশ করে অন্তত ৩০ মিনিট বা সারারাত রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে কুমড়োর বীজের তেল মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া কুমড়োর বীজ বেটে পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। এর সঙ্গে দই, মধু বা অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে সপ্তাহে একবার চুলে এবং মাথার ত্বকে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।