প্রবাহ ডেস্ক: ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা আতঙ্ক। ত্রমশ সিঙ্গাপুর, হংকং, চিন এবং থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলিতে নতুন সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ছে। ভারতেও লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রামিতের সংখ্যা। নেপথ্যে রয়েছে করোনার জেএন.১ ভ্যারিয়েন্ট।
স্বাভাবিকভাবেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কের স্রোত বইছে দেশবাসীর মনে। সংক্রমণকে ঠেকাতে প্রথম থেকেই উপসর্গ বোঝা জরুরি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, জেএন.১ ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণগুলির আগের ওমিক্রন স্ট্রেনের সঙ্গে অনেকাংশে মিল রয়েছে। যেমন গলা ব্যথা, জ্বর, নাক দিয়ে জল পড়া বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, স্বাদ বা গন্ধের অনুভূতি কমে যাওয়া। এই ধরনের কোনও লক্ষণ নজরে এলে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
যদিও নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কয়েকজন রোগী আগের ওমিক্রনের তুলনায় এক্ষেত্রে বেশি ক্লান্তি অনুভবের বিষয়ে জানিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়িতে বিশ্রাম এবং হাইড্রেশনের মাধ্যমে লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। তবে প্রবীণ, শিশুদের সঙ্গে শরীরে কোনও ক্রনিক জটিল রোগ থাকলে অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের জেএন.১ ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের উপজাতি। BA.2.86 (Pirola) স্ট্রেন থেকে এটির উৎপত্তি। কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্ট থেকেও দ্রুত ছড়ায় সংক্রমণ। নতুন এই প্রজাতির সঙ্গে ওমিক্রনের মিল রয়েছে। একাধিকবার চরিত্র বদলে আত্মপ্রকাশ করেছে জেএন.১। এই সংক্রমণ যেমন দ্রুত ছড়ায়, তেমনই প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক বেশি।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫০ পেরিয়ে গিয়েছে। দেশের যে কয়েকটি জায়গায় নতুন করে সংক্রমণের খবর সামনে আসছে, তার মধ্যে শীর্ষে কেরল। গত কয়েকদিনে কেরলে ৬৯টি নতুন সংক্রমণ সামনে এসেছে। মহারাষ্ট্রে এই মুহূর্তে ৫৬ জন করোনা আক্রান্ত, তার মধ্যে গত কয়েকদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪জন। ১২ মে থেকে তামিলনাড়ুতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ জন। হংকং, সিঙ্গাপুরের করোনা পরিস্থিতি গত কয়েকদিনে নতুন করে ভয় ধরিয়েছে সকলের মধ্যে।