নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ রেলওয়েতে গেইট কিপার পদে নিয়োগ সম্পুর্ন করার জন্য রেলপথ মন্ত্রালয়ের আওতায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গেজেট প্রকাশ হয়।
যাহার এস আর ও নং ৪২৫ আইন/২০২৪ সরকারি চাকরি আইন২০১৮(২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন) এর ধারা ৫৯(১) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার, বাংলাদেশ সরকারীকর্ম কমিশনের সহিত পরামর্শ ক্রমে বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাডার বহিভুর্ত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন করেন, তার পরেও নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়নি।
সারাদেশে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় ১ হাজার ৮৮৯ জন অস্থায়ী গেট কিপার লেভেলক্রসিং পাহারা দিচ্ছেন। ২০১৯ সালের জুনে তাদের চাকরিতে নিয়মিতকরণ হাওয়ায় কথা কিন্তু এখনো তারা ঝুরে আছে কেন এ দায় কার??
১৫০৫ জন গেইট কিপার নিয়োগ দিতে সরকার গেজেট দিয়েছে। তার পরেও নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করছেনা বাংলাদেশ রেলওয়ে। এতে সারাদেশের গেট কিপারদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শিগগিরই তারা বড় ধরনের আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। তারা বেতন পান দুই মাস তিন মাস পরে কখনে ৯ মাস পরে। অভিযোগ রয়েছে, অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ ও এদের মজুরি প্রদানের নানা অনিয়মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও জড়িত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের চর্তুথ শ্রেণির অস্থায়ী রেলওয়ে শ্রমিক, কর্মচারীদের অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক চাকরিতে নিয়োগ দেওয়ার রীতি বহু পুরনো। সারাদেশের রেলের ঝুঁকিপূর্ণ লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা কমাতে রাত-দিন নিরলস কাজ করছেন এসব রেল শ্রমিক। চতুর্থ শ্রেণির শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদ হলো রেলওয়ে গেট কিপার।
মান্ধাতা আমলের (ব্রিটিশ) আইন অনুয়ায়ী তাদের কোনো পদ-পদবি নেই। তবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন স্থানে রেলক্রসিং পারাপারে জনসাধারণসহ বিভিন্ন যানবাহনের দুর্ঘটনা এড়াতে তাদের নিয়োগ করা হয় প্রকল্প গেইট কিপার হিসাবে। সে ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক, মাসিক বা বার্ষিক ছুটি নেই, নেই ওভার টাইম। ঊর্ধ্বতনকে খুশি রাখতে না পারলে কথায় কথায় চাকরি চলে যাওয়ার ভয় কাজ করে তাদের।
তার মধ্যে বছরের প্রায় প্রতি মাসে তাদের বেতন নিয়ে চলে টালবাহানা। বাজেট সংকট দেখিয়ে কোনো কোনো সময় তাদের সামান্য এই বেতন ২ থেকে ৫ মাস পর্যন্ত বকেয়া থাকে। ঋনে জর্জরিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন আর চাকুরী হারবার ভয়ে সঙ্কিত তারা।
তাদের চাকুরী আদৌ রাজস্বকরন হবে কি? তাদের চাকুরী থাকবে কি? থাকলে কি ভাবে থাকবে, এমন তাদের নানান প্রশ্নের সমধান কে দিবে?