সোমবার | ১৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
চলতে চলতে থেমে যাচ্ছে রেলের ইঞ্জিন, স্পেয়ার পার্টসের অভাবে বিঘ্ন রেল চলাচল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের বিকল্প নেই : তারেক রহমান ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বদলে কী কী চান পুতিন হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য, বদরুদ্দীন উমর, মাহমুদুর ও নাহিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত রাজশাহীতে সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার রাকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিময় সভা ৮ বছর একসঙ্গে থাকার পর বিয়ে করতে যাচ্ছেন রোনালদো-জর্জিনা ৪ মাস পর হিলি বন্দর দিয়ে এলো চাল ডাকসু নির্বাচন : প্রথম দিনে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন ৭ জন করদাতাদের ভয় দেখাতে নয়, সচেতন করতেই এমন বিজ্ঞপ্তি : এনবিআর চেয়ারম্যান
প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসবিদ, স্যার যদুনাথ সরকার

প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসবিদ, স্যার যদুনাথ সরকার

ওয়ালউির রহমান বাবু: প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসবিদ, স্যার যদুনাথ সরকার প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসবিদ রাজশাহী কলেজের প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র যদুনাথ সরকার জীবন অবসানের দিন ১৯৫৮ সালের ১৯ মে । তিনি জন্ম গ্রহণ করেন নাটোর জেলার সিংড়া থানার ছত্রদিঘী করচমারিয়া গ্রামে ১৮৭০ সালের ১০ ডিসেম্বর।

বাবা শিক্ষা সাংস্কৃতিক অনুরাগী রাজকুমার সরকার মা হরি চৌধুরী, বাবা রাজকুমার সরকার জমিদারি দেখাশুনা করতেন।এই জমিদার পরিবারের একটি সম্বৃদ্ধশালী পাঠাগার ছিল। বাবার কাছে তার লেখাপড়ার হতে খড়ি। ভর্তি হন বাবার প্রতিষ্ঠিত পণ্ডিত শম্ভুনাথ পাঠশালায়। তাকে রাজশাহী জেলা সদরের কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি করা হয়।

তারা থাকতেন রাজশাহী জেলা সদরের রানী বাজারে (রানী বাজার গাল্স স্কুল) যদুনাথ সরকার ছিলেন তার মা বাবান তৃতীয় সন্তান তিনি দুই ভাইয়ের সাথে কলকাতায় চলে যান। সেখান থেকে ফিরে এসে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষার ৬ষ্ট স্থান অর্জন করে রাজশাহী কলেজে ভর্তি হন। এখান থেকে এফ এ পরীক্ষায় দশম স্থান পেয়ে বিএ ডিগ্রি নেয়ার জন্য কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন।

১৮৯১ সালে ইতিহাস ও ইংরেজি সাহিত্যে ডিগ্রি নেবার পর শিক্ষকতার সাথে যুক্ত হন। ফার্সি ভাষাতে তার দক্ষতা ছিল। বিদেশে যাবার প্রস্তাব পেলেও নানা সমস্যার কারণে সেখানে তার যাওয়া হয় নি। কলকাতা রিপন কলেজ ও মেট্রোপলিটন কলেজে শিক্ষকতা করার সময় বাবার ইচ্ছায় প্রেসিডেন্সি কলেজে যুক্ত হন। স্কলারশিপ পরীক্ষায় মেধা বিকাশ করে স্বর্ণ পদক ও দশ হাজার টাকা সম্মানী পান।

পাটনা কলেজ থেকে প্রেসিডেন্সি কলেজে বদলি হলে পাটনা কলেজের অধ্যক্ষ ভিসি আ উইলসনের পরামর্শে পাটনায় ফিরেন। বাংলা, ইংরেজি সাহিত্য রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতিতে তিনি ছিলেন অনেক পারদর্শী। শিক্ষার্থীদের সাথে তার ছিল নিবিড় সম্পর্ক। মাঝে মধ্যেই তিনি তাদের নিয়ে শিক্ষা সফরে যেতেন। ১৯২৬ সালে অবসর নেয়ার পর তৎকালীন বাংলার গভর্নর স্যার স্ট্যানি জ্যাকসন তাকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব দেন।

সেখানে দায়িত্ব পালনকালে সেখানকার নানা সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখেন। কর্তৃপক্ষ তার চাকুরীর মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে তিনি রাজি হননি। ১৯২৯ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইট হুড উপাধি দেন। ১৯২৯ সাল থেকে ১৯৩২ সাল পর্যন্ত বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন। ১৯৩৬ ও ১৯৪৪ সালে ঢাকা ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডিলিট উপাধি দেয়। তিনি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ সহ নানা সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন নানা গুণের এই ব্যক্তিত্ব সেপটিক জরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্য সূত্রঃ গবেষক মাহাবুব সিদ্দিকী
লেখক, তথ্য সংগ্রাহক, সমাজ ও সাংস্কৃতিক কর্মী রাজশাহী ০১৯১১৮৯৪২৬০


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.