নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন আমরা ভারতের দালাল নই, বরং তারা আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু বলে দাবি করেছেন
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর এক আভিজাত্ হোটেলে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজশাহীস্থ ভারতীয় হাইকমিশন ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ উদযাপনের এ আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ১৯৭৫ সালের পর আমরা ভারতের কথাটা মুখে তুললেই যেন দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাই। আমরা ভারতের দালাল ইত্যাদি ইত্যাদি বলতো। ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। যারা স্বাধীনতার স্বপক্ষে হাত মিলিয়ে বাঙ্গালি জাতিকে স্বাধীন জাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়ে কখনও ওষুধ, কখনও খাদ্য কিংবা কখনও সেবার মাধ্যমে বুক ভরা ভালোবাসা দিয়ে ভারতের মানুষ যে ঋণের জালে আবদ্ধ করেছে, সে ভালোবাসা কোন দিন বাংলাদেশের মানুষ ভুলতে পারবে না।
বন্ধুত্ব আর আস্থার জায়গা আরও শক্তিশালী করতে উভয় দেশই কাজ করছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বহুমাত্রিক অবদানের কথা অনন্য ইতিহাসের অংশ। মহান মুক্তিযুদ্ধে সার্বিক সহযোগিতার জন্য ভারতের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
৭৫ পরবর্তী সময়ের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, একসময় ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। দুদেশের সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনও সে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সে কারণে নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। আর মুক্তিযোদ্ধারাই পারেন তাদের যুদ্ধকালীন স্মৃতি চারণার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দু দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। ভবিষ্যতে সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এসময় তিনি ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা দূর করে জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধি, সংস্কৃতির বিনিময় ও বাণিজ্য ভারসাম্য আনতে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্যে রাজশাহীস্থ ভারতের সহকারী হাইকমিশনার শ্রী মনোজ কুমার বলেন, প্রতিটি ভালো কাজে ভারত বাংলাদেশকে সাথে রাখে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশি দেশের সাথে থেকে স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছে ভারতের জনগণ। দুই দেশের মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতির মিল রয়েছে, যা দুইদেশের সম্পর্ককে করেছে মজবুত ও শক্তিশালী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, বিশিষ্ট নারীনেত্রী ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী।
অনুষ্ঠান শেষে খাদ্যমন্ত্রী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশিত এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।