নিজস্ব প্রতিবেদক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক তরুণীর সঙ্গে রাজশাহী-০৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের অশ্লীল কথোপথনের একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। আর একের পর এক নারীর সঙ্গে এমন অডিও-ভিডিও ফাঁস হওয়ায় তার শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি মোড়ে ‘সচেতন বাগমারাবাসী’র ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানবন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, গত সোমবার (৬ নভেম্বর) ফেসবুকে এক তরুণীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে এমপি এনামুলের কথোপকথনের একটি ‘অশ্লীল অডিও’ ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া এই অশ্লীল অডিওতে যিনি কথা বলছেন, সেই কণ্ঠস্বর এমপি এনামুলেরই।
বক্তারা আরও বলেন, এর আগেও চলতি বছরের ৫ এপ্রিল ৫ মিনিট ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেই ভিডিওতে অন্য এক তরুণীর সঙ্গে এমপি এনামুলকে অশ্লীল ভাষায় কথা বলতে দেখা গেছে। তাই একজন আইন প্রণেতার এমন চরিত্র তাদের কারও কাছেই কাম্য নয়। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমন একজন ব্যক্তিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না দেওয়ার দাবি জানান, মানববন্ধনকারীরা।
বক্তারা আরও বলেন, ‘সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এমন অসংখ্য তরুণী ও নারীর সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছেন এই এমপি। তার কারণে বাগমারাবাসী লজ্জিত, দেশের কোথাও মুখ দেখাতে পারা যায় না। এজন্য তারা তার শাস্তি দাবি জানান।
মানবন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, কেবল অসামাজিক কার্যকলাপই নয়; বাগমারায় এমপি এনামুল অনিয়ম-দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করেছে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজে নিয়োগের নামে লাখ লাখ টাকা নিয়ে রেখেছেন। করেছেন নিয়োগবাণিজ্যও। তাই তারা আগামী দিনে এমন মানুষকে এমপি হিসেবে দেখতে চান না।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ, গোবিন্দুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম.এম এনামুল হক, আউচপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি হাফিজুর রহমান, রাজশাহী জেলা মৎসজীবী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবু রায়হান, আউচপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিমসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন। কর্মসূচিতে বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার কয়েক শত মানুষ অংশগ্রহণ করে।
রাজশাহী-০৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের কাছে বিষয় সম্পর্কে জানতে তার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে এর আগের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সেই সম্পর্কে এমপি এনামুল হক ওই সময় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেছিলেন, তিনি নিজেও সেই ভিডিওটি দেখেছেন। কিন্তু ওইটা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভুয়া। নির্বাচনকে সামনে রেখে মানসম্মান নষ্ট করতে তার আইডি হ্যাক করে প্রতিপক্ষ এমনটা করেছে।