বুধবার | ১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে রাজশাহীতে ‘সমতা’র যাত্রা শুরু

তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে রাজশাহীতে ‘সমতা’র যাত্রা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক: তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে রাজশাহীতে যাত্রা শুরু করলো ‘ইউএসএইড সমতা প্রকল্প’। লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় এই সম্প্রদায়ের মানুষকে সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয় বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি উপস্থিত থেকে সবাইকে নিয়ে কেক কেটে এই ‘সমতা’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন- রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ মো. আরিফুল ইসলাম, বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফয়ার সোসাইটির পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মো. শহিদুল আলম, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, ‘ইউএসএইড সমতা’ প্রকল্পের টিম লিডার একেএম মাহবুবুল ইসলাম তানভীর। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক নাফেয়ালা নাসরিন, দিনের আলো হিজড়া সংঘের উপদেষ্টা ও সাংবাদিক শরীফ সুমন, দিনের আলো হিজড়া সংঘের সভাপতি মোহনা মঈন, সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত নারী কাউন্সিলর সুলতানা আহমেদ সাগরিকা, ব্লাস্ট এর রাজশাহী সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট সামিনা বেগম, রাজশাহী কলেজ জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও ইসলামী লেখক মো. মাকছুদ উল্লাহ প্রমুখ।

পুরো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন- বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সিনিয়র অফিসার (মনিটরিং অ্যান্ড অ্যাভুলেশন) শামসুল ইসলাম পলক।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা বলেন, হিজড়ারা বা লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর সদস্যরা সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার। অবেলা ও অবজ্ঞাই তাদের ভাগ্য। সরকার হিজড়া জনগোষ্ঠীকে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও তারা বহুলাংশেই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। তবে তারাও বাঁচার অধিকার চায়, ফিরতে চায় সমাজের মূল স্রোতধারায়। এজন্য রাজশাহীতে সমতা প্রকল্পের বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্পটি হিজড়ারা সম্প্রদায়ের মানুষের সুরক্ষা, স্বনির্ভরতা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করবে। এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও হিজড়া সংস্কৃতি পরিবর্তনে কার্যকর ও সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

বক্তারা আরও বলেন, হিজড়া সম্প্রদায়কে সমাজের মূল স্রোতে আনতে সংসদে বৈষম্য বিরোধী আইন পাস করা প্রয়োজন। এছাড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার জন্য আলাদা কমিশন গঠন করতে হবে। এই জনসংখ্যার জন্য যদি আলাদা বাজেট থাকে তবে তা ব্যয়, পর্যবেক্ষণ এবং মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে।


©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.