নিজস্ব প্রতিবেদক: জামায়াতের বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতের রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, ভিন্ন নামে তারা আসার চেষ্টা করছে। কিন্তু যে নামে আসুক না কেন তাদের সেই মানসিকতা, একাত্তরের সেই ঘাতকের ভূমিকা ও মানসিকতা সেটি পাল্টায়নি। এখনও তারা ঝটিকা মিছিল, চোরাগুপ্ত হামলা চালাচ্ছে।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজশাহীতে পুলিশের উপর হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে নগরীর সিএন্ডবি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে এবং নগরীর টি-বাঁধ সংলগ্ন বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান মেয়র লিটন। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃতি করার চেষ্টা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস দেশের মানুষ জানার সুযোগ পেয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মোটামুটি চুড়ান্তভাবে প্রকাশ হয়েছে। রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান রয়েছে। এছাড়াও জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
রাসিক মেয়র বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানকে হত্যা করে যারা ক্ষমতা দখল করে বা এর সুফলভোগী হিসেবে আমরা যাদের নাম জানি, তাদের বাইরেও আরো যারা পেছনে ছিল, তাদের প্রত্যেকের স্বরূপ উন্মোচন হওয়া দরকার। তাদের জনসম্মুখে আনা দরকার। সে লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠনের দাবি উঠেছে, এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে।
বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারীরা একই শ্রেণির, তাদের উদ্দেশ্য ছিল একই। তাদের চেহারা উন্মোচিত হওয়া দরকার। তারা জীবিত থাকলে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা দরকার বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য।