শনিবার | ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তানোরে সিন্ডিকেটে পানির দামে জিআরের চাল বিক্রি

তানোরে সিন্ডিকেটে পানির দামে জিআরের চাল বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর তানোরে ৫০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৫০ মে: টন চাল বরাদ্দ দেয় সরকার, সেই চাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ৩২ হাজার টাকা টন করে চাল কেনা হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেন। প্রতি কেজির মুল্য ৩২ টাকা।

অথচ সরকার গুদামে চাল কিনছেন ৪৪ টাকা কেজি দরে। ধান কিনছেন ৩০ টাকা কেজি দরে। এদামে চাল দুরে থাক খুদও মিলেনা। কিন্তু উপজেলার খাদ্য অফিসের সহযোগিতায় তারা এমন পানির দামে কিনেছেন চাল।

বাজারে যে কোন চাল ৫০ টাকা কেজির নিচে নাই। তাহলে ৩২ টাকা  দরে কিভাবে চাল বিক্রি হয়। এটা সম্পূর্ণ রুপে দায়ী খাদ্য দপ্তর। কারন প্রকাশ্যে সিন্ডিকেট চক্র অফিসের চেয়ারে বসে দেদারসে ডিও কিনছেন। এতে করে সরকার ও এমপির মহৎ উদ্দেশ্য ভেস্তে গেছে।

সরেজমিনে বিকেল ৫ টা ৪০ মিনিটের দিকে দেখা যায়, খাদ্য অফিসে কোন কোন প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছেন সেই তালিকা দেখছেন সিন্ডিকেট চক্র ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মিজান সাবেক গুদাম সরদার নাজিমুদ্দিন ও আ”লীগ নেতা সিন্ডিকেট চক্রের মুল হোতা সুনিল।

স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা এমন অভিযোগে ভিত্তিতে অফিসে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। নাজিম ও মিজান তালিকা দেখছেন আর মুল হোতা সুনিল কর্মচারী মাসুদের কম্পিউটার টেবিল চেয়ারে বসে আছেন। তবে ক্যামেরা দেখে দ্রুত সটকে পড়েন।

খাদ্য অফিসের কর্মচারী মাসুদ জানান, আমি একটু বাহিরে গেছে এসুযোগে তারা অফিসে বসেছে। আপনি নাই কিভাবে সুনিল আপনার চেয়ারে বসে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন, সে ওএমএসের ডিলার অফিসে আসতেই পারে, কিন্তু চেয়ারে বসে ঠিক করেনি।

ওএমএসের চাল বন্ধ সে আজকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জিআর প্রকল্পের চালের ডিও কিনার জন্য বসে আছে প্রশ্ন করা হলে কোন উত্তর না দিয়ে এ বিষটি সম্পর্কে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা নুরুন্নবীকে মোবাইলে অবহিত করা হলে তিনি জানান, আমি অফিসে যেতে পারিনি, বিষয়টি দেখছি।

অফিসে কেউ নেই সুনিল কিভাবে কর্মচারীর চেয়ারে বসে থাকেন জানতে চাইলে তিনি জানান, অফিসে কেউ না থাকলে অন্য কারো চেয়ারে বসার সুযোগ নাই। কর্মচারী মাসুদের চেয়ারে বসে থেকে চালের দাম দর করছেন এব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহন হবে কিনা প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কি ধরনের ব্যবস্থা হবে জানতে চাইলে তিনি জানান তদন্ত করে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, বাজারে গরু ছাগলকে খাওয়ানো খুদও ৪০ টাকা কেজি।

আর চাল নিম্মে ৪৮-৫০ টাকা কেজি। তাহলে সরকারের দেওয়া বরাদ্দের চাল কেন ৩২ টাকা  কেজি হবে। আমরা ডিও নিব গুদাম থেকে চাল তুলব তারপর বিক্রি করব।

শুধু ডিওতে সাক্ষর করা লাগছে, আর অফিসেই টন প্রতি ৩২ হাজার টাকা করে দিচ্ছেন। আবার এদিক ওদিক তো আছেই। কয়েকজন মিলে সিন্ডিকেট করে সরকারের মহৎ কাজ সরকারী দলের লোকেরাই ভেস্তে দিচ্ছে।

চাল কিনতে না পারা কিছু ব্যক্তিরা জানান, এসব চাল গুদাম থেকে বের হবেনা। শুধু কাগজ বদল হবে। ৩২ টাকা কেজি কিনে ৪৪ টাকা কেজি করে সরকারকে দিবে। এজন্য গুদাম কর্মকর্তারা মোটা অংকের টাকাও নিবেন।  কারন গুদামের চাল, গুদামেই থাকবে, তাহলে তো দিতেই হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে ব্যস্ত ব্যস্ত পাওয়া যায়।


©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.