বুধবার | ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তানোরে প্রকৌশলীকে হজ্ব করতে পৌর ফান্ডের টাকা দিলেন মেয়র

তানোরে প্রকৌশলীকে হজ্ব করতে পৌর ফান্ডের টাকা দিলেন মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর তানোর পৌরসভার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব সরদার জাহাঙ্গীর আলমকে হজ্বের জন্য মিটিং করে পৌর ফান্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন একাধিক কাউন্সিলর।

এখবর ছড়িয়ে পড়লে পৌরসভা জুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়, সেই সাথে জনগণের করের টাকা হজ্বের জন্য দেওয়ায় আমানতের খিয়ানত বলে জানিয়েছেন একাধিক মাওলানারা। ফলে মেয়রের বিরুদ্ধে একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য ফুঁসে উঠেছেন পৌর বাসী।

মেয়রের এসব অনিয়ম ও দূনীতির সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি ও জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন সাগরিকরা।

এক মাওলানা বলেন, পৌরসভা ফান্ডে জনগণের করের টাকা ও বিভিন্ন উন্নয়ন মুলুক টাকা জমা থাকে। সেই টাকা হজ্বের জন্য ব্যয় মানেই আমানতের খিয়ানত ও জনগণের সাথে মারাত্মক প্রতারনা।

এসব টাকা নেয় কিভাবে প্রশ্ন মাওলানার। আসলে নামের জন্য হজ্ব নাকি গুনাহ মাফ ও আল্লাহর সন্তোষ অর্জনের জন্য। আমার মনে হয় নামের আগে আলহাজ্ব লাগানোর জন্য হজ্ব। তাছাড়া এটাকা কখনো নিত না।

বেশকিছু কাউন্সিলরেরা জানান, সহকারী প্রকৌশলী কেশরহাট পৌরসভায় মুল দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মাসে দু চার দিন অফিসে আসেন প্রাইভেট কার নিয়ে কিছুক্ষণ থাকার পর আবার চলে যান।

তার চলন বলন দেখে মনে হয় তিনি কোন বিদেশী রাষ্ট্রদুত অথবা কোন দপ্তরের মন্ত্রী বা এমডি। তার কক্ষে অনুমতি ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারেন না।

হজ্বে যাওয়ার কথা শুনে মেয়র সবাইকে বলে তাকে টাকা দিতে হবে। আমরা জানিয়ে দিলাম হজ্বের জন্য কেন পৌর ফান্ড থেকে টাকা দিতে হবে।

এটা জনগণের টাকা, এখান থেকে কোন টাকা দেওয়া সঠিক হবেনা। কিন্তু মেয়র নামমাত্র মিটিং করে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং দেওয়া হয়।

এখন প্রশ্ন জনগণের টাকায় হজ্ব হবে কিনা,আর জনগণের পবিত্র আমানতের খিয়ানত করা হয়েছে কিনা। এজন্য একদিন মেয়রকে জনতার সামনে জবাব দিতে হবেই হবে।

পৌর সচেনত নাগরিকরা বলেন, জীবনে এই প্রথম শুনলাম জনগণের টাকায় কেউ হজ্বে গেল। হজ্ব মুসলমানদের জন্য ফরজ, যাদের সামর্থ আছে তাদের জন্য।

কিন্ত জনগণের টাকায় হজ্ব এটা কাম্য না।পৌর মেয়র ইমরুল হক বলেন, তাকে উপহার হিসেবে টাকা দেওয়া হয়েছে। জনগণের টাকা হজ্বের উপহার দেওয়া যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি আমার ইচ্ছে হয়েছে দিয়েছি, কত অনিয়মইতো হচ্ছে।

এবিষয়ে উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার (রাজশাহী) অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত (ডিডিএলজি) অসিম কুমার সরকারের সাথে মুঠোফোনে কথা বলা হলে তিনি বলেন আমি নতুন দায়িত্বে এসেছি খোঁজ খবর নিয়ে আপনাকে জানাচ্ছি।

কিছুক্ষন পর তিনি কল করে বলেন, পৌর ফান্ড থেকে হজ্বের জন্য টাকা দেওয়া যাবেনা, তদন্ত করে প্রমান হলে আইনে যা আছে সে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে, এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া হবেনা।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক ( ডিসি) শামিম আহম্মেদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলছি জানিয়ে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন তিনি।


©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.