প্রবাহ ডেস্ক: ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানাধীন কালীগঞ্জ এলাকা থেকে ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত জাল টাকা তৈরি চক্রের মূলহোতা হানিফ গাজীকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব বলছে, গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি ছদ্মবেশে মৌসুমি ফলের ব্যবসা শুরু করেন। সেখানেও করতেন জাল টাকার কারবার।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি দল শনিবার (১৭ জুন) দিবাগত রাতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে। হানিফ বরগুনার আমতলী এলাকার মোহাম্মদ গাজীর ছেলে।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হানিফ গাজী একজন জাল টাকা তৈরি চক্রের মূলহোতা। তিনি ২০১৬ সালে বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। পরে তার বিরুদ্ধে বরগুনা জেলার আমতলী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার হানিফ তিনমাস জেল হাজতে থাকার পর আদালত হতে জামিনে মুক্তি পেয়ে নিয়মিত আদালতে হাজিরা না দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। অন্যদিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পরে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত হানিফ গাজীকে চৌদ্দ বছর কারাদণ্ড প্রদানপূর্বক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন। এর পর থেকে আসামি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করেন।
গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হানিফ জাল টাকা তৈরির সাথে তার সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন জানিয়ে এএসপি শিহাব করিম বলেন, হানিফ একটি সঙ্গবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতা। জাল টাকার নোট তৈরি করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কমমূল্যে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা সরবরাহ করতেন।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে মৌসুমি ফলের ব্যবসা করেন। এ কাজের আড়ালে চক্রের সদস্যদের কাছে জাল টাকার নোট সরবরাহ ও বিক্রি করতেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে।