বুধবার | ২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন সময়ের দাবি : চরমোনাই পীর ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ চিহ্নিত করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা আশ্রয়প্রার্থীদের নৌকায় চেপে ব্রিটেনে পৌঁছানোর রেকর্ড অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ : লিভ টু আপিল শুনানি ১৬ জুলাই ‘পঞ্চপাণ্ডব’ ছাড়া নতুন যুগে বাংলাদেশ একদিনে আরও ৩৮৬ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, সবচেয়ে বেশি বরিশালে একান্ত বৈঠকে কী বলেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা, জানালেন সিইসি আমরা নতুন দেশ গড়ার আন্দোলনে নেমেছি : নাহিদ ইসলাম ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে ‘আল্লাহর শত্রু’ আখ্যা দিয়ে ইরানে ফতোয়া নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আশাবাদী চীন : ফখরুল
ঐতিহাসিক ‘তানোর দিবস’ পালিত

ঐতিহাসিক ‘তানোর দিবস’ পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর তানোর উপজেলায় পালিত হল ঐতিহাসিক ‘তানোর দিবস’। রবিবার সকালে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে গভীর শ্রদ্ধার সাথে দিবসটি পালন করা হয়।

তানোর উপজেলার গোল্লাপাড়া এলাকায় নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন দলটির নেতাকর্মীরা।

পরে দলের রাজশাহী জেলা, মহানগর ও তানোর উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, মহানগর সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন, জেলার সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আব্দুল মান্নান, বিমল চন্দ্র রাজোয়ার, গণেশ মাঝি, সদস্য মনিরুজ্জামান, আব্দুল জলিল, বকুল ইমতিয়াজ, শিমুল রানা, সাদ্দাম, মোহাম্মদ জলিল, নওশাদ আলী, শাহিন শেখ প্রমুখ।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এখন ক্ষমতায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য, সেই প্রগতিশীল কৃষক আন্দোলনের ৪৪ নেতাকর্মীর গণকবরের স্থানটি রক্ষণাবেক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। কেবল বছরে শুধু একটি দিন (১১ ডিসেম্বর) ওয়ার্কার্স পার্টিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীদেরই ফুলেল শুভেচ্ছার মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করতে দেখা যায়। কিন্তু এ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন কোনো সরকারই মর্মান্তিক ও লোমহর্ষক ঘটনার মাইলফলক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় গাঁথা এই দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের জন্য কোনো উদ্যোগ আজও গ্রহণ করেনি।

উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ১১ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকার প্রগতিশীল কৃষক আন্দোলনের (বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল এম.এল) রাজশাহী জেলার তানোর থানার গোল্লাপাড়া বাজারের গোডাউনের পার্শ্বে এরাদ আলী, এমদাদুল হক মুন্টু মাষ্টার ও রশিদসহ ৪৪ বিপ্লবী শহিদ নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে নির্যাতনে হত্যা করে রাতের আঁধারেই গণকবর দেয়। এরপর থেকেই ঐতিহাসিক এ দিনটি পালনে প্রতিবছরই ওয়ার্কার্স পার্টিসহ কয়েকটি সংগঠন ও রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শহিদদের স্মরণে দিবসটি উদযাপন করে থাকেন।


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.