নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালি পৌরসভা এলাকার পদ্মা নদীতে চরশ্যামপুর ও দিয়ার খিদিরপুর মৌজার বালুমহাল ইজারা দিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন।
গত ২ মে সাড়ে আট কোটি টাকায় বালুমহালটি ইজারা নিয়েছেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা জনি ইসলাম। সরকারি নির্ধারিত মূল্যের প্রায় দুই কোটি টাকা বেশী দরে ৩৯০ একরের বালুমহালটি ইজারা নিয়েছেন তিনি। কিন্তু ইজারা শর্ত ভঙ্গ করে বালু উত্তোলন ও পরিবহন করছেন জনি ইসলাম।
বিশেষ করে ইজারা এলাকার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পদ্মার উজানে গিয়ে কাজলা মৌজা থেকে বালু উত্তোলন করছেন তিনি। এছাড়াও তিনি মানছেন না বালু পরিবহনের শর্তও। জনবহুল সড়ক ব্যবহার করে দিন-রাত বালু পরিবহন করছেন। এতে যেমন পৌরসভা এলাকার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন স্থানীয় লোকজন। এছাড়াও বালু পরিবহনের সময় ট্রাকের উপর ঢেকে দেয়ার নিয়ম থাকলেও সেটিও করা হয় না। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নদী পথে চরশ্যামপুর থেকে নগরীর তালাইমারি ঘাটের দুরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। ইজারা এলাকার বাইরে গিয়ে তালাইমারি নিচে কাজলা মৌজা থেকে ড্রেজিং করে বালু তোলা হচ্ছে। এতে তালাইমারি এলাকা ভাঙন ঝুকিতে পড়ছে। ২০১৯ সালে এ এলাকায় বালু উত্তোলন ও পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট ও জেলা প্রশাসন। যা এখনো বলাবদ রয়েছে।
তালাইমারি এলাকায় বসবাসকারি ইব্রাহীম হোসেন জানান, ‘‘উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক রেজুলেশন করে তালাইমারি এলাকায় বালুমহাল ও ঘাট বিলুপ্ত করেছেন। যা এখানো বহাল রয়েছে। এর পরও এই এলাকায় নতুন করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও বালুমহাল ইজারাদার জনি ইসলাম ফোন ধরেননি। মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠিয়েও তার কোন সারা পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরে ফোন রিসিভ করলেও গাড়ি চালাচ্ছি বলে কেটে দেন। তিনি বালুমহাল নিয়ে কোন কথা বলেননি।
এ নিয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ইজারা এলাকার বাইরে গিয়ে বালু তোলা যাবে না। যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।