বৃহস্পতিবার | ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
নিজেদের ছবি উধাও, পোস্টে কাঁটাছেঁড়া! রাজদীপ-তন্বী প্রেমভাঙার নেপথ্যে কি অন্য নারী? ৬ সীমান্ত দিয়ে ১০৫ জনকে বিএসএফের পুশইন সকালে ঘুম থেকে উঠে এই ৫ ভুল করলেই বারোটা বাজবে লিভারের! অজান্তেই তিলে তিলে শেষ হবে শরীর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল আরএমপি ডিবির অভিযানে ১০টি চোরাই মোবাইলসহ গ্রপ্তার ১ সরকারি হাসপাতাল পরিচ্ছন্নের কাজ বেসরকারি খাতে দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে কি না, পুনর্বিবেচনা করবে বিএনপি দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল ২৫৩ রানে পিছিয়ে ডেঙ্গুতে একদিনে ৪৬ জন হাসপাতালে ভর্তি, করোনায় সংক্রমিত ৬ ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে, ইশরাক আন্দোলন স্থগিত করলেন
ঠান্ডা পানি কি হার্টের জন্য ক্ষতিকর?

ঠান্ডা পানি কি হার্টের জন্য ক্ষতিকর?

প্রবাহ ডেস্ক: সরাসরি ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি পান করার ক্ষেত্রে আমাদের বেশিরভাগ সময়েই সতর্ক করা হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়, ঠান্ডা পানি পান করা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এটি কতটা সত্যি? গরম আবহাওয়ায় ঠান্ডা পানি পান করা একটি প্রয়োজনীয়তা।

তবে হঠাৎ করে প্রচুর ঠান্ডা পানি পান করলে তা ক্ষতিকর হতে পারে। এপি ধমনীতে হঠাৎ ভ্যাসোস্পাজম সৃষ্টি করার কারণে বিরূপ পরিণতি হতে পারে। খাবার খাওয়ার মাঝখানে ঠান্ডা পানি খেলে এটিেবেশি ঘটে থাকে। ভারতের ম্যাক্স হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান পরিচালক মনজিন্দর সান্ধু টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক বক্তব্যে এমনটাই বলেছেন।

হৃদরোগীদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তাদের অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করা উচিত নয়। কারণ এটি হার্টের অ্যারিথমিয়াকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং এটি ভাসোস্পাজমের কারণ হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটি হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে, এমনটাই বলেন মনজিন্দর সান্ধু।

ভাসোস্পাজম কী?

ভাসোস্পাজম হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে রক্তনালীগুলো সরু হয়ে যায় এবং রক্তের প্রবাহকে বাধা দেয়। ভাসোস্পাজম হতে পারে বিভিন্ন ধরণের। যেমন করোনারি ভাসোস্পাজম, সেরিব্রাল ভাসোস্পাজম, স্তনবৃন্ত ভাসোস্পাজম এবং হাত ও পায়ের আঙ্গুলের ভাসোস্পাজম।

করোনারি ভাসোস্পাজম বেশিরভাগই ঠান্ডার কারণে ঘটে। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, মূর্ছা যাওয়া, এনজাইনা বা বুকে ব্যথা এবং তীব্র করোনারি সিনড্রোম। ঠান্ডাজনিত কারণে আঙ্গুল ও পায়ের আঙ্গুলের মধ্যে যে ভাসোস্পাজম হয় তাতে ত্বকের রঙ পরিবর্তন হেপোরে এবং থরথর বা ঝাঁঝালো সংবেদন দেখা যায়।

ঠান্ডা না গরম পানি?

স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করাই সর্বোত্তম, বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন এবং জোর দেন যে হাইড্রেটেড থাকাটাই হলো চাবিকাঠি। অনেক বিশেষজ্ঞ হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করার জন্য খাবারের পরে হালকা গরম পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন। হাইড্রেশন সম্পর্কে সতর্ক হওয়া উচিত।

তৃষ্ণার্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না কারণ আপনি যখন তৃষ্ণার্ত মানে হলো আপনি ইতিমধ্যেই পানিশূন্য হয়ে পড়েছেন। প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল করা উচিত। যদি এটি গাঢ় রঙের হয়, তাহলে তৃষ্ণার্ত না হলেও পানি পান করা উচিত।

হাইড্রেশনের বিকল্প উৎস :

হাইড্রেশনের বিকল্প উৎস থাকলে ঠান্ডা পানীয় পান করার ইচ্ছা কমে যেতে পারে। ফলমূল এবং শাকসবজি থেকে প্রচুর পানি পাওয়া যায়। পানি পান করার পাশাপাশি শসা, তরমুজ, ডাবের পানি, লাচ্ছি ইত্যাদি খান। এগুলো আপনাকে সারাদিন হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করবে।


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.