নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। সোমবার (২২ মে) দুপুরে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপর দাখিল করেন তিনি।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন।
সদ্য সাবেক মেয়রকে আবারও একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
মনোনয়নপত্র জমাদান শেষে মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হিসেবে আজকে মনোনয়নপত্র দাখিল করলাম। আমি জানি নগরবাসীর আরো কিছু আশা-আকাঙ্খা অপূর্ণ আছে। সুযোগ পেলে আগামী ৫ বছরে সেগুলো পূরণ করতে চাই। রাজশাহীতে শিল্পায়নের অবস্থা ভালো না ও তেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। সেখানে কীভাবে শিল্পায়ন করা যায়, কর্মসংস্থান বাড়ানো হয়, সেক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকবো। আমার নির্বাচনী ইশতেহারে ১ নম্বরে থাকবে কর্মসংস্থানের বিষয়টি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা নিয়ে আমি রাজশাহীকে কর্মমুখর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য বেগম আখতার জাহান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিনাতুন নেসা তালুকদার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, ডা. তবিবুর রহমান শেখ, নাইমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু ও মোস্তাক হোসেন, প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, রাজশাহী এ্যাডভোকেট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ।
মেয়র পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বর্তমান পদ থেকে রোববার (২১ মে) বিকেলে পদত্যাগ করেন এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। নতুন নির্বাচিত মেয়র দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত তার সকল প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ বি এম শরীফ উদ্দিনের ওপর। রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য, আসন্ন ২১ জুন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে গতকাল রবিবার (২১ মে) অপরাহ্নে পদত্যাগ করেন রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এরআগে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই রাসিক নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়ে প্রায় শতকোটি টাকা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২১ মে রাসিকের রাজস্ব খাতের তহবিলে প্রায় ৪০ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত রেখে পদত্যাগ করেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। শেষ কর্মদিবস শেষে রাত ৯টায় নগর ভবনে থেকে বেরিয়ে যান তিনি। এরআগে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রথমবার মেয়র ছিলেন খায়রুজ্জামান লিটন।