মঙ্গলবার | ২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত: বেবিচক চেয়ারম্যান শহীদ শামসুজ্জোহার কবর জিয়ারত করেছে রাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধি দল রাজশাহীতে বিশ্ব ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ডেঙ্গুতে আরো চারজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬০ হাজার মাস্টাররোল কর্মচারীদের বেতন ও মামলার রায় বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রায় ১৮ টন সরঞ্জাম আগুনে পুড়েছে ভয়াবহ আগুন শাহজালাল কার্গো ভিলেজে, নিয়ন্ত্রণে ফায়ারের ৩৬ ইউনিট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জরুরি বৈঠক সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আগামীকাল রাকসু নির্বাচন
ইমরান খান এবং আদালতের আঘাতে বিভক্ত পাকিস্তানের সেনাবাহিনী

ইমরান খান এবং আদালতের আঘাতে বিভক্ত পাকিস্তানের সেনাবাহিনী

প্রবাহ ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার এবং পরবর্তীতে এ গ্রেপ্তারকে সুপ্রিম কোর্টের ‘অবৈধ’ ঘোষণা করার বিষয়টি দেশটির সেনাবাহিনীতে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে। পাক মিলিটারি মনিটর নামের একটি সামরিক সংবাদমাধ্যমে মঙ্গলবার (১৬ মে) এমন দাবি করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদরদপ্তর এবং লাহোরে একজন কমান্ডারের বাড়িতে হামলার বিষয়টি উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর দু’জন জেনারেল। তারা মূলত ইমরানের খানের গ্রেপ্তারের বিরোধীতা করেছিলেন।

এমনকি তারা সেনাপ্রধান অসিম মুনিরকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, যদি ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের জেরে তেহরিক ই-ইনসাফের কর্মীরা সেনাবাহিনীর ওপর কোনো হামলা চালায়, তাহলে তারা গুলির নির্দেশনা দেবেন না। অডিও ফাঁস, গোয়েন্দা তথ্যসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে প্রকাশ্যে আসার বিষয়টি অস্বাভাবিক ঘটনাই।

সেনাবাহিনীর পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ইন্ধনে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন দেশটির আদালত। এরমাধ্যমে সেনাবাহিনী ইমরানকে দমিয়ে দেওয়ার যে পরিকল্পনা করেছিল, সেটি ব্যর্থ করে দিয়েছেন আদালত।

আগে সেনাবাহিনীর পক্ষেই অবস্থান নিত পাকিস্তানের আদালত। তবে এবার অন্যরকম চিত্র দেখা গেছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে যখন হাইকোর্টে হাজির করা হয় তখন প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাকে দেখে ভালো লাগছে।’

এছাড়া জালমি খলিলজাদ নামে আফগান বংশোদ্ভূত প্রভাবশালী মার্কিন নাগরিক গত ১৩ মে এক টুইটে জানান, সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনিরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন অপর দুই জেনারেল। তারা অসিমের পদত্যাগের দাবিও তুলেছেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোতে এখন বলা হচ্ছে, যদি বর্তমান রাজনৈতিক সংকট না কাটে তাহলে ‘সামরিক আইন’ ঘোষণা না করে ‘জরুরি অবস্থা’ হয়ত ঘোষণা করা হতে পারে।

এর মাধ্যমে শেহবাজ শরীফকে সরিয়ে দিয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং অন্তত দুই বছরের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে।


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.