নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট বাজার পাম্প সংলগ্ন স্থানে দির্ঘদিন ধরে ইট-বালির ব্যবসা করতেন কেশরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাকশৈল গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন (৬১)। স্থানীয়দের মতে ৪ সন্তান ও দুই স্ত্রী নিয়ে দুই পরিবার তার। সংসারের অধিক খরচ ও ব্যবসায়িক প্রতিবন্ধকতার মাঝে ঋণগ্রস্ত অবস্থায় দুশ্চিন্তায় থাকতেন অধিকাংশ সময়। গত ৩০ এপ্রিল রোববার সকাল থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হন তিনি। এরপর হতে স্বজনরা অনেক খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধান করতে পারেননি।
অবশেষে বুধবার (৩ মে) ভোরে তারই মেয়ে-জামাইয়ের নির্মাণাধিন বাড়িতে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান প্রতিবেশি ফিরোজ নামের এক ব্যাক্তি। নির্মাণাধীন ওই বাড়িতে কেউ বসবাস করত না। বাড়িটির মালিক মেয়ে-জামাই থাকেন রাজধানী ঢাকায়। পরে থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
বাকশৈল গ্রামের আনাম, দুলাল, আলমসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, নিহত ইব্রাহিম ঋণগ্রস্ত ছিলেন। মাঝে মাঝে মানুষ টাকা চাইতে আসতো। অর্থনৈতিক কষ্টের মাঝে তার জীবন যাপন দেখা যেত। এছাড়াও তিনি একাধিক ব্যক্তির কাছে চড়া সুদে টাকা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সেই সমস্ত সুদ ব্যবসায়ীদের সুদের টাকা পরিশোধ করতে করতে তার অবস্থা অনেকটা নাজেহাল হয়ে পড়েছিল। স্থানীয়দের অনেকেরই ধারণা সুদ ব্যবসায়ীদের নিকট হতে সুদের উপরে টাকা নিয়ে সুদ পরিশোধ করতে করতে আজ তার এই করুন পরিণতি। মৃত ইব্রাহিমের জামাই সোবানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার শ্বশুরের ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ঋণ রয়েছে।
এবিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম বাদশাহ বলেন, ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। লোকটি ঋণগ্রস্ত ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। ময়না তদন্ত রির্পোটে বিস্তারিত জানা যাবে।