শনিবার | ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
জুলাই আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি, খুনিদের বিচার এবং সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত কোনও নির্বাচন নয়: নাহিদ ইসলাম রাজশাহীতে যুবলীগ নেতার ভাগনের বিচার চেয়ে মামার সংবাদ সম্মেলন রাজশাহী বোর্ডে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫, পাসের হার ৭৭.৬৩ শতাংশ চুন্নুর পর আনিসুল ও হাওলাদারকে জাপা থেকে অব্যাহতি ঋতুপর্ণাদের ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ক্রীড়া উপদেষ্টার রাজশাহী প্রেসক্লাব থেকে সন্ত্রাসী জুলুর অস্ত্র বাহক পুট্ট বাবু আটক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভিশন সংরক্ষণে নতুন নির্দেশনা সারজিসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের আদেশ ২০ জুলাই ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২ রাজশাহীতে থানা থেকে লুন্ঠিত পুলিশের পিস্তল উদ্ধার
কঙ্গোতে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত ২০

কঙ্গোতে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত ২০

প্রবাহ ডেস্ক: বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বেনির চারপাশে সক্রিয় রয়েছে কঙ্গোর সৈন্যরা। মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) সন্ত্রাসীদের হামলায় ২০ জন নিহত হয়েছেন। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। রোববার (৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ইসলামিক স্টেট কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে একটি গ্রামে হামলার দায় স্বীকার করেছে যেখানে হামলায় প্রায় ২০ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ইসলামিক স্টেট তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে।

রয়টার্স বলছে, গত শুক্রবার বেনির উপকণ্ঠে অবস্থিত মুসান্দাবা গ্রামে এই হামলার ঘটনাটি ঘটে। বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে হওয়া এই ধরনের সহিংসতার জন্য সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ উগান্ডার সশস্ত্র গোষ্ঠী অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ)-কে দায়ী করে থাকে। কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় এই গোষ্ঠীটি ইসলামিক স্টেটের প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করেছে।

বেনি টেরিটরির সামরিক প্রশাসক কর্নেল চার্লস ওমেওঙ্গা বলেছেন, ‘শুক্রবার আমরা মুসান্দাবা গ্রামে প্রায় ২০ জন মৃতকে উদ্ধার করেছি।’

তিনি এই প্রাণহানির জন্য এডিএফকে অভিযুক্ত করেন।

অন্যদিকে স্থানীয় অ্যাক্টিভিস্ট জানভিয়ের কাসেরেকা কাসাইরিও জানান, যেখানে হামলা হয়েছে তার কাছের একটি হাসপাতালে ২২টি মৃতদেহ পৌঁছেছে।

নর্থ কিভু অঞ্চলের সেনা মুখপাত্র অ্যান্টনি মাওয়ালুশে বলেছেন, হামলাকারীরা ‘সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষ এড়াতে হামলার সময় ছুরি ব্যবহার করেছে।’

সংবাদমাধ্যম বলছে, কঙ্গোর সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও কঙ্গোর পূর্বাঞ্চল বছরের পর বছর ধরে ক্রমাগত সহিংসতার মধ্যে রয়েছে এবং গত শুক্রবারের ওই প্রাণহানি ধারাবাহিক অস্থিতিশীলতারই সর্বশেষ ঘটনা।

উল্লেখ্য, ব্যাপক মিলিশিয়া সহিংসতা রোধ করার লক্ষ্যে কঙ্গোর সরকার ২০২১ সালে নর্থ কিভু এবং ইতুরিতে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু হত্যাকাণ্ড ও বিদ্রোহী তৎপরতা কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.