মঙ্গলবার | ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা নিয়ে ভবিষ্যত গড়তে চাই: মনোজ কুমার আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন: আইন উপদেষ্টা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা রাজশাহীতে বিচারকের বাসায় ঢুকে ছেলেকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা, স্ত্রী গুরুতর আহত আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারির পর নির্বাচন মানুষ মেনে নেবে না: মির্জা ফখরুল রাজশাহীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত ডেঙ্গুতে আরো ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৪ জন জাতীয় সংসদের অর্ধেক আসন চায় নারীরা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছে ব্যালটে: ইসি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছে ব্যালটে: ইসি

প্রবাহ ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে না। সারা দেশে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে। সোমবার (৩ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের ১৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সভায় অন্য চার কমিশনার, ইসি সচিব ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।

জাহাংগীর আলম বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে ব্যালট পেপার এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ইভিএম মেশিন মেরামতের জন্য যে ১ হাজার ২৫৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল সে অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না বলে কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে পাঁচ সিটি নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার চলমান থাকবে।

ইসি সচিব বলেন, ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী সর্বোচ্চ দেড়শ আসনে ইভিএমে ভোট করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাবও নেওয়া হয়। কিন্তু প্রকল্পটি আর গৃহীত হয়নি। ইভিএমের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিএমটিএফ ১ লাখেরও বেশি ইভিএমের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ বরাদ্দ প্রস্তাব করে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। তবে আগামী অর্থবছরে পাওয়া যেতে পারে বলে নিশ্চয়তা দেয়। এ অবস্থায় ইভিএমগুলো কিউসি (কোয়ালিটি চেকিং) করে কাজ করার মতো অর্থ ইসির হাতে নেই এবং সময়সাপেক্ষ বিষয়। রাজনৈতিক দলের মধ্যে ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে বিরোধিতাও কমিশনের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে বলে জানান তিনি।

জাহাংগীর আলম বলেন, নির্বাচনের আগে সময় স্বল্পতা, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ পেতে নিশ্চয়তা না পাওয়া এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ঐকমত্যের অভাব- এ তিন বিষয় বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যেও দেড়শ আসনে ইভিএমে ভোট করার পরিকল্পনা নিয়েছিল কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। কিন্তু সরকারের সায় না পাওয়ায় ইসির প্রস্তাবিত প্রকল্প স্থগিত হয়ে যায়। পরে ইসির হাতে থাকা দেড় লাখ ইভিএম রক্ষণাবেক্ষণ করে অন্তত ৫০ থেকে ৮০টি আসনে ইভিএমে ভোট করার সক্ষমতা ছিল ইসির। তবে ইভিএম মেরামতেও হাজার কোটি টাকার সংস্থান চাওয়া হয়। তাতেও আর্থিক সংকটের কারণে অর্থ পেতে সংশয় দেখা দেয়। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলোর সিংহভাগই ইভিএমে ভোট করার বিরোধিতা করে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে ইভিএমে সংসদ নির্বাচনে ভোট করা থেকে সরে এল কমিশন।


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.