সোমবার | ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার দাবিতে বাসার সামনে অবস্থান রোহিঙ্গা সংকট, বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা: জাতিসংঘ ফজলুর রহমানকে আরও ২৪ ঘণ্টা সময় দিলো বিএনপি হত্যা মামলায় রিমান্ডে আফ্রিদি, খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাবার ছবি দেখিয়ে জামিন চাইলেন আইনজীবী ছাত্রদলকে ডাকসুতে মনোনয়নপত্র ক্রয় করতে না দিতে মব হচ্ছে : রিজভী চিকিৎসা শেষে ফিরলেন মির্জা ফখরুল, সংকট নিরসনের একমাত্র পথ দ্রুত নির্বাচন আনুষ্ঠানিক দা‌য়িত্ব নিলেন পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারকে সহযোগিতা দিতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত : সেনাপ্রধান আরএমপি’র অভিযানে ইয়াবা, অ্যালকোহল ও চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার ৪ চলতে চলতে থেমে যাচ্ছে রেলের ইঞ্জিন, স্পেয়ার পার্টসের অভাবে বিঘ্ন রেল চলাচল
নন্দীগ্রামে ধর্ষণের চেষ্টা, ৮০ হাজার টাকায় মীমাংসা

নন্দীগ্রামে ধর্ষণের চেষ্টা, ৮০ হাজার টাকায় মীমাংসা

প্রবাহ ডেস্ক: বগুড়ার নন্দীগ্রামে জানালা ভেঙে ঘরে ঢোকে ছুরির ভয় দেখিয়ে তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। পরে এ ঘটনা ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করে দেয় গ্রাম্য মাতব্বররা। উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের মণিনাগ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ওই গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান বাবুর (৩৮) এর কুনজর পড়ে পাশের বাড়ির তিন সন্তানের জননী।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূর স্বামী মেয়ে জামাই বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ সুযোগে গভীর রাতে জিয়াউর রহমান বাবু জানালা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢোকে ছুরি ধরে ভয় দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন সে চিৎকার দিলে আশপাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসে। সেসময় তৈয়ব আলীর ছেলে সিদ্দিকুর রহমান জিয়াউর রহমান বাবুকে ছুরিসহ আটক করে। পরে পরিবারের লোকজনের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরদিন শুক্রবার রাতে ওই গ্রামে আব্দুস সাত্তারের ছেলে আজিজুর রহমান ও কাতেম আলীর ছেলে আবির হোসেনের নেতৃত্বে গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশে জিয়াউর রহমান বাবুকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে ৫০ হাজার টাকা ওই গৃহবধূর স্বামীকে দেওয়া হয়। বাকী টাকা তারা ভাগবাটোয়ারা করে নেয় বলে জানা গেছে।

শনিবার বিকালে সরেজমিনে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাঁরা কেউ ঘর থেকে বের হয়নি। গ্রাম্য মাতব্বরদেরও বাড়িতে পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন গ্রামবাসী জানায়, ঘটনা সত্যি কিন্তু আপস হয়েছে। তাই ওরা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে চায় না। তবে বাবুর শাস্তি হওয়া দরকার ছিলো।

নন্দীগ্রামের কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনকিছু জানা নাই। এ ধরণের সালিশ গ্রামের মানুষ কি ভাবে করে জানিনা।


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.