সোমবার | ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
ছাত্রদলকে ডাকসুতে মনোনয়নপত্র ক্রয় করতে না দিতে মব হচ্ছে : রিজভী চিকিৎসা শেষে ফিরলেন মির্জা ফখরুল, সংকট নিরসনের একমাত্র পথ দ্রুত নির্বাচন আনুষ্ঠানিক দা‌য়িত্ব নিলেন পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারকে সহযোগিতা দিতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত : সেনাপ্রধান আরএমপি’র অভিযানে ইয়াবা, অ্যালকোহল ও চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার ৪ চলতে চলতে থেমে যাচ্ছে রেলের ইঞ্জিন, স্পেয়ার পার্টসের অভাবে বিঘ্ন রেল চলাচল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের বিকল্প নেই : তারেক রহমান ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বদলে কী কী চান পুতিন হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য, বদরুদ্দীন উমর, মাহমুদুর ও নাহিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত রাজশাহীতে সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার
আদমদীঘিতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

প্রবাহ ডেস্ক: বগুড়ার আদমদীঘির নসরতপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমের ছেলে আমিরুল সরদারকে কুপিয়ে হত্যা মামলার মূল আসামিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঘন্টাব্যপী উপজেলার নসরতপুর বাজারের তিনমাথা ভ্যানস্টান্ড এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে আমিরুল হত্যা মামলার আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, নিহতের স্ত্রী রোকসানা, বোন আফরোজা, মেয়ে রিয়া মনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, আব্দুর রহমান, আফাজ, মোবারক, মোহাম্মাদ আলী প্রমূখ।

মানববন্ধনে নিহত আমিরুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, ২২ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪টায় মামলার প্রধান আসামী শাহিন মোবাইল ফোনে লক্ষ্মীপুর গ্রামের ক্লাব ঘরে আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় জানাতে পারি শাহিনের নেতৃত্বে তহিদুল, মহসীন, আরিফ, সালাম, মামুন, জুয়েল, বকুল ও সাগরসহ বেশ কয়েকজন মিলে আমার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দৌঁড়ে গিয়ে তার মরদেহ দেখতে পাই। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম জানান, গ্রামের তুচ্ছ ঘটনায়ও তহিদুল-শাহিন গ্রুপ বিচার-সালিস বসিয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায়সহ বিভিন্ন চাঁদাবাজির টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেন। এ নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ৩০-৪০টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। এই সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে জোড় দাবী জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, হত্যাকান্ডের পরের দিন দুপুরে আমিরুলের বড় বোন আফরোজা বেগম বাদী হয়ে শাহিন, তহিদুলসহ ৩৭ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর আসামী নুর ইসলাম কবিরাজ, আবু বক্কর ও ওয়াহেদ নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও হত্যা মামলার মূল আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি। বর্তমানে হত্যার মূল আসামিসহ অন্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.