বুধবার | ১৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
রাজশাহীতে নারী ও শিশু অধিকার বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে তিন দিনব্যাপী জুলাই ভিত্তিক ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা শুরু রাবিতে জুলাই ’২৪ স্মৃতি চত্বরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন রাজশাহীতে হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক রাজশাহীতে গৃহবধূ হত্যা মামলার শ্বাশুড়ি গ্রেপ্তার আ.লীগ জাতীয় পার্টিকে সার্কাস পার্টিতে পরিণত করেছিল : জি এম কাদের রাত ১টার মধ্যে নয় অঞ্চলে ঝড়ের আভাস জুলাইয়েই ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট আর নগদ পুরস্কার পাচ্ছেন সেরা শিক্ষার্থীরা দেশি কোচদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিসিবি সভাপতি শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা উৎসাহব্যঞ্জক : বাণিজ্য উপদেষ্টা
রাবিতে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

রাবিতে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আজ ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৫টায় শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন রাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক মো. ইলিয়াছ হোসেন, এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক বলেন, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। বঙ্গবন্ধুুর জন্মের এই দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে এই দিনটি উদ্যাপন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আজ আমরা স্বাধীনভাবে মাথা উচু করে বাস করছি। সকলের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এই দেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে কি আমরা আজ এখানে থাকতে পারতাম? তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরও ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত পুলিশ তার কবরটি পাহারা দিয়েছে। সে সময়ে কেউ বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়ার সাহস পেতো না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের স্বায়ত্তশাসন সম্পর্কে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার পর চারটি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে কেউ বাঙালির মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি, পারবেওনা। বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে তিনি সবার প্রতি আহবান জানান।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তিনি আমাদের জন্য রেখে গেছেন স্বাধীন বাংলাদেশ। এই দেশ আমাদের সবার আপন। এদেশে স্বাধীনতাবিরোধীরা যেগুলো করেছে, সেগুলো আমাদের পরিহার করে চলতে হবে, তাহলেই বঙ্গবন্ধুকে ও আমাদের সোনার বাংলাকে আপন মনে হবে। বাঙালির সাড়ে তিন হাজার বছরের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু হলেন প্রথম ব্যাক্তি, যিনি বাংলা ভাষাকে মুক্ত করেছেন, বাংলাকে মুক্ত করেছেন। এই সাড়ে তিন হাজার বছরে যা কেউ করতে পারেনি, বঙ্গবন্ধু তা করেছেন। একারণে বঙ্গবন্ধুকে আমাদের চর্চা করা দরকার ও তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করা দরকার।

অনুষ্ঠানের সভাপতি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, আজকে এমন একজন মানুষের জন্মদিন যাকে আমরা ব্যাক্তি হিসেবে মনে করার চেয়ে একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনে করি। বাঙালি জাতিকে বিভিন্ন দিকে তিনি যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন আমরা সেভাবেই এগিয়ে চলছি। আমরা মার্চ মাসে এই দিবসটি উদ্যাপন করি। এটা অগ্নিঝরা মার্চ। এই মার্চেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, এই মার্চেই বঙ্গবন্ধুর জন্ম, স্বাভাবিকভাবেই মার্চ আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ অর্থবহ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন।


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.