প্রবাহ ডেস্ক: নাটোরের গুরুদাসপুরে যাতায়াতের রাস্তায় টিনের বেড়া দিয়ে একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশিদের বিরুদ্ধে। একারনে পরিবারটি তিনদিন ধরে অমানবিক জীবন যাপন করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের পিপলা গ্রামে।
এঘটনার প্রতিকার পেতে গতকাল রোববার (১২ মার্চ) গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী আয়নাল হক(৪৫)। এতে প্রতিবেশি মোতালেব হোসেন মোতাহার হোসেন শিপন আলী মোন্নাফ হোসেন ও আব্দুল হান্নানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আজ সোমবার (১৩ মার্চ) পর্যন্ত পরিবারটির পাশে দাঁড়ায়নি কেউ-ই।
ভুক্তভোগী আয়নাল হক অভিযোগ করে বলেন, পৈত্রিকসুত্রে ১৫ শতক জায়গা রয়েছে তাঁর। সেখানে নানা রকম গাছপালা রোপন করে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি। সেই জায়গা জবর দখল করে সেখানে রোপন করা নানা প্রজাতির ১০টি গাছ কেটে সেখানে পাকা বাড়ি নির্মানের প্রস্তুতি নিয়েছেন প্রতিপক্ষ। অথচ এই জায়গা নিয়ে গুরুদাসপুর আমলি আদালতে একটি মামলা ( মামলা নম্বর- ১৪৬/২২)চলমান রয়েছে।
আয়নাল হক আরো বলেন, আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও গত শুক্রবার (১০ মার্চ) গাছ কেটে সেখানে নির্মান সামগ্রী রেখেছেন প্রতিপক্ষরা। এতে বাধা দিতে গেলে ভয়ভীতি দেখানোসহ অশালিন গালমন্দ করেন। সর্বশেষ টিনের বেড়া দিয়ে যাতায়াতের রাস্তাটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন পরিবারের লোকজন নিয়ে অনেকটা অবরুদ্ধ জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
জায়গা জবর দখল ও গাছ কাটার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিপক্ষ মোতালেব হোসেন ও মোতাহার হোসেন বলেন, ওই মামলায় ডিগ্রী পাওয়ার পরই জায়গাটি দখলে নিয়েছেন তাঁরা। যার প্রেক্ষিতে সেখানকার গাছগুলো কেটে বাড়ি নির্মানের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সীমানা হিসেবে রাস্তায় টিনের বেড়া দেওয়া হয়েছে, এটা দোষের কী। আমাদের জায়গা আমরা ঘর দিচ্ছি। হয়রানি করতেই থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগটি আমলে এনে আদালতে পাঠানো হয়েছে।