শনিবার | ১২ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে কালজয়ী গীতিকার-সূরকারের জন্মশত বার্ষিকীতে লোকসঙ্গীত উৎসব

জয়পুরহাটে কালজয়ী গীতিকার-সূরকারের জন্মশত বার্ষিকীতে লোকসঙ্গীত উৎসব

প্রবাহ ডেস্ক: এক সময়ের বিমোহিত করা পল্লীগান ‘কলকল ছলছল নদী করে টলমল-’সহ প্রায় ৩০০ গানের গীতিকার-সূরকার একেএম আব্দুল আজিজ ছিলেন জয়পুরহাটের কৃতি সন্তান। ১৯২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর জয়পুরহাটে জন্মগ্রহন করে অনেক জনপ্রিয় গান সৃষ্টি করে পারি জমিয়েছেন পরপারে। তাই জয়পুরহাটের প্রথিতযশা এই সঙ্গীত প্রেমীকে স্মরনীয় করতে আয়োজন করা হয় কিংবদন্তী সঙ্গীত বিষেজ্ঞ একেএম আব্দুল আজিজের জন্মশত বার্ষিকী।

এ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বিকাল থেকে দুই দিন ব্যাপী চলছে লোক সঙ্গীত উৎসব। শহীদ ডাঃ আবুল কাসেম ময়দানে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতি ও গবেষক ড. জেসমিন বুলি। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সালেহীন তানভীর গাজী, পুলিশ সুপার নূরে আলম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খাজা শামছুল আলম, রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক সঙ্গীত বিভাগের প্রধান ড. কমল খালিদ, ভারতের ত্রিপুরা ফোক একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট ভাওয়াইয়াশিল্পী উত্তম কুমার সাহাসহ প্রমূখ।

এ আয়োজনে সেই স্বর্ণালী দিনগুলোর চিরঞ্জীব গানগুলো পরিবেশন করতে জয়পুরহাটে এই লোক সঙ্গীত উৎববে এসেছেন ৭০ থেকে ৯০ দশকের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী খুরশিদ আলম, পল্লীগিতি শিল্পী আব্দুল আলীম কন্যা নূরজাহান আলীম, সূরকার-গীতিকার আব্দুল আজিজ কন্যা প্রখ্যাত ভাওয়াইয়া শিল্পী নাদিরা বেগম, এ কালের জনপ্রিয় ভাওয়াইয়া শিল্পী আমেনা খাতুনসহ উত্তারাঞ্চলের জনপ্রিয় ভ্ওায়াইয়া ও পল্লীগীতি শিল্পীরা।

বাংলার চিরচেনা সমৃদ্ধ সংস্কৃতির অংশ পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালী, মুর্শিদী, জারি, সারি, বারোমাসিসহ নানা গানগুলোকে আবারো জনপ্রিয় করতে এমন আয়োজন আরো বেশী প্রয়োজন বলে জানান রোক সঙ্গীত উৎসবের সভাপতি রাজা চৌধূরী।


©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.