বুধবার | ২৭শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার দাবিতে বাসার সামনে অবস্থান রোহিঙ্গা সংকট, বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা: জাতিসংঘ ফজলুর রহমানকে আরও ২৪ ঘণ্টা সময় দিলো বিএনপি হত্যা মামলায় রিমান্ডে আফ্রিদি, খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাবার ছবি দেখিয়ে জামিন চাইলেন আইনজীবী ছাত্রদলকে ডাকসুতে মনোনয়নপত্র ক্রয় করতে না দিতে মব হচ্ছে : রিজভী চিকিৎসা শেষে ফিরলেন মির্জা ফখরুল, সংকট নিরসনের একমাত্র পথ দ্রুত নির্বাচন আনুষ্ঠানিক দা‌য়িত্ব নিলেন পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারকে সহযোগিতা দিতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত : সেনাপ্রধান আরএমপি’র অভিযানে ইয়াবা, অ্যালকোহল ও চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার ৪ চলতে চলতে থেমে যাচ্ছে রেলের ইঞ্জিন, স্পেয়ার পার্টসের অভাবে বিঘ্ন রেল চলাচল
৬ অভ্যাসেই সুস্থ থাকবে কিডনি!

৬ অভ্যাসেই সুস্থ থাকবে কিডনি!

প্রবাহ ডেস্ক: শরীর সুস্থ রাখতে হলে কিডনিকে অবহেলা করলে চলবে না। নয়তো শরীরে বাসা বাঁধবে নানা ধরনের জটিল রোগ। রক্ত পরিশ্রুত করা থেকে শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়া, সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে কিডনির ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

আর এ কিডনিতে যদি কোনো সমস্যা হয়, তা হলে তার প্রভাব গিয়ে পড়ে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর। তাই কিডনি সুস্থ রাখা খুবই প্রয়োজন। বর্তমানে অনেকেই কিডনির রোগে ভোগেন। প্রথমেই এই অসুখ ধরা যায় না। আর যখন রোগ ধরা পড়ে, তখন এতটাই গুরুতর আকার ধারণ করে যে মৃত্যু মুখে পর্যন্ত পড়তে হয়!

তাই আগে থাকতেই সতর্ক হওয়া দরকার। প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস করলেই কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব। তাই সবার জেনে থাকা উচিত কোনো অভ্যাসগুলোতে কিডনি সুস্থ-সবল থাকবে।

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম কেবল আমাদের সক্রিয় রাখে না, পাশাপাশি নানা স্বাস্থ্য সমস্যাও দূর করে। প্রতিদিন ব্যায়াম করলে রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, হার্ট ও কিডনি সুস্থ থাকে।

এ ছাড়া আরও অনেক শারীরিক সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। প্রতিদিন দৌড়ানো, হাঁটা, যোগব্যায়াম, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা কিডনি সুস্থ রাখতে দারুণ কাজ করে।
প্রচুর জলপান করুন।

পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। দিনে অন্তত সাত-আট গ্লাস জলপান করা উচিত। জল কিডনি থেকে সোডিয়াম এবং অন্যান্য টক্সিন বের করে দেয়, যার ফলে কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে।

বিশেষত, যাদের কিডনিতে পাথরের সমস্যা রয়েছে, তাদের আরও বেশি জলপান করা উচিত। জল কিডনিতে পাথর জমতে দেয় না।
ধূমপান ত্যাগ করুন। ধূমপান রক্তনালি ব্লক করে দেয়, ফলে কিডনিতে রক্ত প্রবাহে বাধা পড়ে।

তা ছাড়া ধূমপান রেনাল সেল কার্সিনোমা (এক ধরনের কিডনি ক্যানসার) হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ায়। তবে ধূমপান ছেড়ে দিলে কিডনি ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে।

কিডনি পরীক্ষা করান ডায়াবেটিস রোগী, জন্মগত ওজন কম, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা রয়েছে এবং যাদের কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, তাদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এই ব্যক্তিদের সময়ে সময়ে কিডনি পরীক্ষা করানো উচিত।

মেডিসিন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনই কোনো ওষুধ খাবেন না। ডাক্তার যখন যে ওষুধ সুপারিশ করবেন, তখনই সেই ওষুধ খান। যখন তখন নিজের মতো ওষুধ খেলে কিডনি রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন— আইবুপ্রোফেন ও নেপ্রোক্সেন কিডনির ক্ষতি করতে পারে। রক্তচাপ চেক করান নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করান। উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তারা অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.