প্রবাহ ডেস্ক: যশোর প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে কর্মচারীকে মারপিট ও নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহবুব ম্যানসেলকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে যুবলীগ।
বুধবার (৮ মার্চ) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- আওয়ামী যুবলীগ ঐতিহ্যবাহী সুশৃঙ্খল দল। এ সংগঠনের ভাবমূর্তি বজায় রাখা সবার নৈতিক ও সাংগঠনিক দায়িত্ব; কিন্তু পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেবুব ম্যানসেল একটি সরকারি অফিসে অনধিকার প্রবেশ করে সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা প্রদান করে। হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে সাধারণ জখম, শ্লীলতাহানি হুমকিসহ হুকুমদানের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এমতাবস্থায় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশক্রমে মেহেবুব ম্যানসেলকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
গত রোববার বিকালে জেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে যশোর পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহবুব রহমান ওরফে ম্যানসেলের (৩৬) নেতৃত্বে যুবলীগের কর্মীরা জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিনকে লাঞ্ছিত ও কর্মচারীকে মারধর হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় মুনা আফরিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় মেহবুবসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিকালে পুলিশ ওই চারজনকে আদালতে হাজির করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে আসামিরা সবাই কারাগারে রয়েছেন।
গ্রেফতার মেহবুব রহমান যশোর ষষ্ঠীতলাপাড়া এলাকার মো. আলমাসের ছেলে। এছাড়া গ্রেফতার অন্যরা হলেন শহরের রাকিব হোসেন ওরফে ভাইপো রাকিব, অনিক হাসান মেহেদী ও মীর সাদী। সবার বাড়ি যশোর শহরের ষষ্ঠীতলাপাড়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেহবুব রহমানের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। ২০১৯ সালে সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে মেহবুবের পায়ে গুলি লাগে। অপর তিনজনের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। তবে এই তিনজন যুবলীগের কোনো পদ-পদবিতে না থাকায় সংগঠন থেকে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়নি।