প্রবাহ ডেস্ক: বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) আয়োজিত আন্তর্জাতিক খাদ্য পণ্য মেলা দ্বিতীয় দিনেও জমজমাট।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার ঘুরে দেখা গেছে আয়োজক-ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়।
এবারের এই প্রদর্শনীতে ১৭টি দেশের প্রায় ৪ শতাধিক স্টলে জমে উঠেছে পুরো এলাকা। রয়েছে চীন, তুরস্ক, ভারত, যুক্তরাজ্য, লিথুনিয়াসহ বিভিন্ন দেশের স্টল রয়েছে মেলায়।
আইসিসিবির ‘নবরাত্রি’, ‘রাজদর্শন’, ‘পুষ্পগুচ্ছ’ এই ৩টি হলে জমকালো আয়োজনে এ প্রদর্শনী চলছে।
ভারতভিত্তিক কোম্পানি স্যামকো ইন্টারন্যাশনাল কো. লি. এর সত্ত্বাধিকারী সাদিক খান বলেন, আমরা মূলত বিভিন্ন ধরনের সসেজ, ক্যাচাপ উৎপাদন এবং বিক্রি করি। এখানে অনেক সাড়া পাচ্ছি। আরও কিছু স্টল দিতে পারলে ভালো হতো। আশা করছি এখান থেকে আমাদের পণ্যের একটা ভালো প্রচার হবে।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্টলে কথা হয় ডিপার্টমেন্ট অব ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাদনান হোসেন, সাদিয়া ইউসুফ রিয়া এবং কৌশিকের সঙ্গে।
কৌশিক বলেন, দ্বিতীয় দিনে খুবই ভালো বিক্রি হয়েছে। আমরা মূলত বিক্রি করছি কম্বুচার জুস। এটা সিংগাপুরিয়ান জুস। এটা শুধু একটা খাবারই না বরং এর স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও আছে। এই জুস ব্লাড সার্কুলেশন ইম্প্রুভ করে, কার্ডিয়াক সমস্যা থাকলে সেটিও ইমপ্রুভ করে। সাদিয়া জানান, জুসের পাশাপাশি তারা শুকনো ফলও বিক্রি করছেন।
কথা হয় প্যারাডাইস সাইন্টেফিক কোম্পানি লি. এর সত্ত্বাধিকারী মাহফুজুল হক মাসুমের সঙ্গে। তারা মূলত খাবারের গুণগত মান, সংরক্ষণ ও যাচাইয়ের মেশনারিজ বিদেশ থেকে এনে দেশে বিক্রি করে থাকেন। এবারের আয়োজনে নিজেদের পণ্যের আরও প্রসার চান তারা।
কথা হয় ভারতভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউনিপ্যাক ফুড প্রসেসিং লি. এর সত্ত্বাধিকারী ভাবিন মোদির সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের এই মেশিনটি মূলত বিস্কুট প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহৃত হয়। এই মেশিন সাধারণত মাঝারিমানের উদ্যোক্তারা নিয়ে থাকেন।
এর আগে শুক্রবার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। তিন দিনব্যাপী এবারের আয়োজনের শেষ হচ্ছে রোববার।