মঙ্গলবার | ২রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ খবর :
তারেক রহমানের ৩১ দফার বার্তা প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে হবে: বেগম সেলিমা রহমান নুরের ওপর হামলায় জড়িত কেউ রেহাই পাবে না, সরকারের বিবৃতি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন প্রতিহত করার কোনও শক্তি নাই: প্রেস সচিব ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার দাবিতে বাসার সামনে অবস্থান রোহিঙ্গা সংকট, বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা: জাতিসংঘ ফজলুর রহমানকে আরও ২৪ ঘণ্টা সময় দিলো বিএনপি হত্যা মামলায় রিমান্ডে আফ্রিদি, খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাবার ছবি দেখিয়ে জামিন চাইলেন আইনজীবী ছাত্রদলকে ডাকসুতে মনোনয়নপত্র ক্রয় করতে না দিতে মব হচ্ছে : রিজভী চিকিৎসা শেষে ফিরলেন মির্জা ফখরুল, সংকট নিরসনের একমাত্র পথ দ্রুত নির্বাচন আনুষ্ঠানিক দা‌য়িত্ব নিলেন পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনার
সকালের নাস্তায় কি শর্করা খাবেন?

সকালের নাস্তায় কি শর্করা খাবেন?

প্রবাহ ডেস্ক: সকালের নাস্তা নিয়ে অনেকেই অবহেলা করে থাকেন। কেউ কেউ একেবারেই সকালে কিছু খান না। আবার কেউ হাল্কা খাবার খান। দিনের পর দিন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে শরীরে ক্যালরির ঘাটতি পড়ে। এর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। অথচ প্রাতঃরাশই আমাদের সারা দিনের শক্তির জোগান দেয়। রাতের খাবার খাওয়ার পর দীর্ঘ ১০-১২ ঘণ্টা উপবাস ভাঙা হয় প্রাতঃরাশ দিয়ে।

স্বাভাবিকভাবেই এই খাবারটি গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য থেকে প্রাপ্ত শক্তি শরীরের বিপাক ক্রিয়ায় খরচ হয়ে যায়। আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখনো এটি খরচ হতে থাকে। এ জন্য ঘুম থেকে উঠার পরই এটা পূরণ করে ফেলা উচিত। সেই কারণে যারা সকালে কিছুই খান না, তারা ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করেন।

সকালের নাস্তায় শর্করা কতটা শক্তির যোগান দেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বারডেমের অবসরপ্রাপ্ত চিফ নিউট্রিশন অফিসার আখতারুন নাহার আলো।

অনেকে মনে করেন সকালের নাস্তা না খেলে ওজন কমে যাবে। আসলে তা হয় না। পর্যাপ্ত ও স্বাস্থ্যকর নাস্তা আপনার দৈহিক ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেহের বিপাক ক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয় এবং সারা দিন ধরে প্রচুর শক্তি খরচ করতে সহায়তা করে। যদি নাস্তা বাদ দেওয়া হয়, তাহলে কার্য প্রবণতা ও কর্মক্ষমতা কমে যাবে।

সকালের নাস্তা অবশ্যই সুষম হতে হবে। কারণ আমাদের দেহে প্রতিটি খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন আছে। এ সময় শর্করার দিকে জোর দিতে হবে। শর্করা আমাদের দেহে সেরোটোনিন নিঃসরণের মাধ্যমে মন, মেজাজ ও মানসিক অবস্থাকে উন্নত করে। ফলে মনকে সজীব ও সতেজ রাখে। অর্থাৎ শর্করা শুধু শক্তিই প্রদান করে না।

সকালের নাস্তায় পানীয় হিসাবে রাখা যেতে পারে গ্রিনটি, চা-কফি, লাচ্ছি, ঘোল, ফলের রস ইত্যাদি। খুব ভালো হয়, যদি ঘুম থেকে উঠার দু’এক ঘণ্টা পর সকালের নাস্তা খেয়ে ফেলা যায়। যেহেতু এটা দিনের প্রথম খাবার এবং আগের রাতের পরিপূরক, সে কারণেই আগের রাতের খাওয়ার সময়ের সঙ্গে ভারসাম্য রেখেই নাস্তার সময় ঠিক করা ভালো। রাতের খাবার ও সকালের নাস্তার মধ্যে যেন বারো ঘণ্টার বেশি ব্যবধান না হয়। নাস্তা খাওয়া উচিত সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে।


ads



©2022 newsprobaha.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.